লন্ডন,২৯ অক্টোবর: ২৮শে অক্টোবর, ২০০৬, এই দিনে সাবেক জোট সরকারের মেয়াদের শেষ লগ্নে এসে যখন ক্কমতা হস্তান্তর ও নতুন নির্বাচনের জন্য দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেশ ও জাতি দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যায়!
এমনই সময় জোটের শরিক দলের পক্ক থেকে ঐতিহাসিক পল্টনে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়, আর এতে ততকালীন বিরুধী দল, আওয়ামী জোটের পক্ক থেকে পাশাপাশি পাল্টা কর্মসুচীর ঘোষণা করা হয়।
সেই পাল্টা কর্মসুচী বিরোধিতার রাজনীতি ছেড়ে, প্রতি হিংসার রাজনীতিতে পরিনত হয়, এক পক্ক অপর পক্কের উপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে।লগি-বৈঠার তান্ডবে অনেক মায়ের কোল খালি হয়, অনেক সম্ভাবনাময় ছাত্রপ্রতিভা নিঃশ্বেষ হয়ে যায়, আহত ও পংগুত্য বরন করে অনেকই, হারিয়ে যায় উদিয়মান গনতন্ত্রের সোপান, ব্যহত হয় গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও কাঠামো যা আজও ফিরে আসেনি।
ঐতিহাসিক “পল্টন ট্রাজেডি” তথা “লগি-বৈঠার ট্রাজেডি” উপলক্ষে, “বিদেশি প্রবাসী” র উদ্যোগে এক মতবিনিময়-আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় অনলাইন জুমের মাধ্যমে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট অঞ্চলের সাবেক ছাত্রনেতা ডাঃ সায়েফ আহমদ। প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম শাহীন।
সভাপতিত্ব এবং দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা এডভোকেট হাবিবুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে শাহজালাল চৌধুরী, সুলতান আহমদ, জাকির চৌধুরী, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুকুল, এম বি জামান গোলাম কিবরীয়া প্রমুখ।
সভায় বক্তারা অভিযোগ উত্থাপন করেন, এই সরকার দেখে দেখে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের বিচার করলেও আজ প্রায় পনের বছর অতিক্রম হচ্ছে অথচ এই লোমহর্ষক ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সক্কম হয় নি যেটি আন্তর্জাতিক মহলে দেশের আইনের শাসনের ব্যর্থতা তথা এই সরকারের আরেকটি ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ।
শুধু তাই নয়, ঘটনার অনেক ভিক্টিম মামলার কারনে হুমকি আর ভয় ভিতির সম্মুখীন হননি, মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়!
বক্তারা এহেন হীন মানসিকতা পরিহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং অনতিবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার কারয্যক্রম শুরু করার আহবান জানান অন্যথায় শুধু মানবতা বিরুধী অমানবিক সরকার হিসেবে আখ্যায়িত হবেই না, একদিন বিচারের কাঠগড়ায় জবাব দিতে হবে।
(বদরুজ্জামান বাবুল)