যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে দৃষ্টি চীন ও রাশিয়ার দিকে ফেরানোয় মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক শক্তিগুলো অঞ্চলটির প্রতি বাইডেনের ‘প্রতিশ্রুতি’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে।
সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব হারাচ্ছে।
সৌদি প্রিন্স ও দেশটির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান তুর্কি বিন ফয়সল আল সৌদ মঙ্গলবার বলেন, আফগানিস্তান-ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছর উপস্থিতি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অঞ্চলটিতে ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
সৌদির সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ‘কৌশলগত বিশৃঙ্খলা’ তৈরি করেছে। ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্টদের প্রভাব ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
তুর্কি বিন ফয়সল আল সৌদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘কৌশলগত বিশৃঙ্খলায়’ সৌদি আরবের থেকে বেশি আর কেউ শংকিত নয়। কারণ হিসেবে সৌদির সাবেক গোয়েন্দা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যে অস্ত্র ফেলে গেছে, সে দেশে থাকা আইএস এবং আল কায়েদা এই অস্ত্র সর্বপ্রথম সৌদির দিকেই তাক করবে।
২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি মধ্যপ্রাচ্য থেকে দৃষ্টি চীন ও রাশিয়ার দিকে ফেরানোর ইঙ্গিত দেন। এর অংশ হিসেবে বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেন এবং ইরাক থেকেও সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
গত ২০ বছর ধরে সৌদির গোয়েন্দা বাহিনীতে কাজ করা তুর্কি আল সৌদ বাইডেনের এই নীতির সমালোচনা করে বলেন, আমি জানিনা এর জন্য অবিবেচনাপ্রসূতা, অমনোযোগিতা নাকি অব্যবস্থপনা দায়ী। তবে এসবের সমন্বয়েই যুক্তরাষ্ট্র এই নীতি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করন তিনি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে চালানো সামরিক আক্রমণকে যুক্তরাষ্ট্র আর সমর্থন করবে না। একইসঙ্গে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন বাইডেন।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ