প্রতি বছর গাড়ি বিক্রেতারা সরকারকে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা কর দেন

সম্প্রতি দেশে কমে এসেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ফলে স্বাভাবিক হয়েছে সব ধরনের কর্মকাণ্ড। এ কারণে প্রতি মাসে গাড়ির চাহিদা বেড়েই চলেছে। আর এই গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া আরও সহজতর করতে জাপান এবং অন্যান্য দেশ থেকে নতুন এবং রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করছে “কারডিলার”।

“কারডিলার” স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান গাড়ি রপ্তানিকারক একটি কোম্পানিতে কাজ করার সময় এ বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পর নিজেই ব্যবসা শুরু করেন।

প্রাথমিকভাবে মেহেদী যানবাহন বিক্রির ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরির অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও একটি গাড়িও বিক্রি হচ্ছিল না। এরপর সহকর্মীদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে পরবর্তী তিন মাসে ২৭টি গাড়ি বিক্রি করতে সক্ষম হন। যার জন্য তাকে কোম্পানিতে স্থায়ী চাকরিও দেওয়া হয়।

এক পর্যায়ে তিনি নিজের ডিলারশিপের স্বপ্ন নিয়ে ওই কোম্পানির রপ্তানি বিভাগের চাকরি ছেড়ে দেন এবং আমদানিতে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করেন। এভাবে, তিনি পুরো গাড়ির বাজার সম্পর্কে অনেক বেশি ধারণা এবং জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।

পরবর্তীতে তিনি তার লাইসেন্স ব্যবহার করে গাড়ি কিনতেন এবং যেখানে তিনি কাজ করতেন সেই শোরুমের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করতেন। এক বছর পর তিনি “গ্লোবাল অটোমোবাইলস” নামে একটি নিজস্ব শোরুম শুরু করেন এবং পরবর্তীতে এর নাম রাখেন “কারডিলার”।

একটি শোরুমে কাজ করার সময় তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, ভোক্তাদের ওপর সার্বক্ষণিক নির্ভরতা ছাড়া ডিলারদের বেশি কিছু করার নেই। কিন্তু মেহেদীর ইচ্ছা ছিল ভিন্ন কিছু করা। সেই ইচ্ছে থেকে তিনি গাড়ির ভিডিও বানাতে শুরু করেন। যদিও এটি সহজ কাজ ছিল না এবং প্রথম দুই বছর তিনি যৌথভাবে ভিডিও বানাতেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি একাই সেগুলো তৈরি করেন।

বর্তমানে মেহেদীর বারিধারায় বেশ কয়েকটি শোরুম রয়েছে এবং প্রতি মাসে বিক্রিও সন্তোষজনক। তবে সব মাসে সমান বিক্রি হয় না।

মেহেদী বলেছেন, তিনি এখনও এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করেছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সেটি অবশ্যই ভিন্ন”।

তিনি আরও বলেন, “আমি শুধুমাত্র গাড়ি বিক্রি করতে চাই না বরং সমস্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ক্লায়েন্ট সহায়তায় একটি সার্ভিস সেন্টারও খুলতে চাই। কারডিলার একটি নির্ভরযোগ্য কোম্পানি। যা একটি গাড়ি সংক্রান্ত সব ধরনের চাহিদা পূরণ করবে।”

“কারডিলার” প্রি-অর্ডারও নেয়, যা গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করা। এমনকি রঙ কিংবা মেকানিজম সম্পর্কেও। একটি প্রি-অর্ডার করা গাড়ি আসতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় লাগে। তাদের গাড়ি-সম্পর্কিত ভিডিও টিউটোরিয়ালও রয়েছে তবে তারা শিগগিরই সেগুলোকে আরও তথ্যবহুলভাবে উপস্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। যাতে ক্রেতারা তাদের বাড়িতে বসেই তাদের বাজেট অনুযায়ী তাদের গাড়ি বেছে নিতে সক্ষম হন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর গাড়ি বিক্রেতারা সরকারকে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা কর দেন। এভাবে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পেরে মেহেদী সন্তুষ্ট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে