বাড়ি ইউকে যুক্তরাজ্য সরকারের দুর্নীতির নিয়ম পরিবর্তনে ইউ-টার্ন, এমপি’র পদত্যাগ

যুক্তরাজ্য সরকারের দুর্নীতির নিয়ম পরিবর্তনে ইউ-টার্ন, এমপি’র পদত্যাগ

78
0

লন্ডন (রয়টার্স) -ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার বৃহস্পতিবার সংসদীয় দুর্নীতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা রদবদল করার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে। সরকারের জন্য এটি একটি বিব্রতকর অবস্থা।  এর ফলে কথিত এমপি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।  তার দলে অসন্তুষ্টির মুখোমুখি হয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলের প্রশাসনকে অনইতিক আচরনের অভিযোগ করে সংবাদ প্রকাশের পর, সরকার বলেছে যে আগের দিন সংসদে দেওয়া প্রস্তাবগুলির বিষয়ে তারা পুণরায়  ভেবে দেখবে।  

জনসন সমর্থনে রক্ষণশীল আইন প্রণেতারা ওয়েন প্যাটারসনের সংসদ থেকে প্রস্তাবিত ৩০ দিনের স্থগিতাদেশ স্থগিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।  সংসদের স্ট্যান্ডার্ড ওয়াচডগ প্রাক্তন মন্ত্রী ওয়েনেকে দুটি সংস্থার জন্য বারবার তদবির করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এই তদবির করার জন্য তিনি  তার বার্ষিক আয়ের প্রায় তিনগুণ অর্থ আয় করেছিলেন।

ব্যাবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে তারা ওয়েনের স্থগিতাদেশ বিলম্বিত করার একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে উপস্থাপন করে এবং  বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য একটি নতুন কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেয়।  কিন্তু বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং তার নিজের দলের মধ্যে কয়েকজনের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের কারণে সরকার পিছু হটে এবং প্রস্তাবিত স্থগিতাদেশের বিষয়ে আরেকটি ভোট হবে মর্মে ঘোষনা দেয়। পিটারসন তখন ঘোষণা দেন যে তিনি “রাজনীতির নিষ্ঠুর জগৎ” ছেড়ে দিচ্ছেন।

প্যাটারসন এক  বিবৃতিতে বলেন, “গত দুই বছর আমার এবং আমার পরিবারের জন্য একটি অবর্ণনীয় দুঃস্বপ্ন ছিল।” উল্লেখ্য যে, তার স্ত্রী গত বছর আত্মহত্যা করেন।

জনসন বলেন যে তিনি “খুব দুঃখিত” যে প্যাটারসন এমপি’র পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন, তিনি আরও বলেন যে এটি “অবশ্যই তার জন্য খুব কঠিন এক সিদ্ধান্ত। জনসন আরো বলেন, আমি বুঝতে পারি কেন?  তিনি তার পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েছন”।   

সরকারের ঘুরে দাঁড়ানোর আগে, রক্ষনশীল দলের কতিপয় রাজনীতিবিদ বিতর্কটি মোকাবেলার সরকারের   কৌশলের সমালোচনা করেন। অনেকে মনে করেন যার দায়  প্রধান মন্ত্রীর ওপর বর্তায়।  

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে