বাড়ি মতামত সাবেক এমপি মাওলানা ফরিদ চৌধুরীর চিকিৎসা ও পাসপোর্ট বিড়ম্বনা এবং কিছু কথা

সাবেক এমপি মাওলানা ফরিদ চৌধুরীর চিকিৎসা ও পাসপোর্ট বিড়ম্বনা এবং কিছু কথা

96
0

|সিরাজুল ইসলাম শাহীন|
সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। ঢাকায় জরুরী অপারেশনের পর সিলেট শহরের বাসায় ছিলেন । সম্প্রতি ঢাকা ইবনে সিনায় ভর্তি হয়েছেন। আল্লাহর ফজলে রিলিজ পেলে বাসায় ফেরৎ আসার অপেক্ষায় আছেন। অপারেশনের আগেই বিদেশে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ ছিল। কিন্তু উপায় ছিল না। পাসপোর্ট ছাড়াতো সম্ভব নয় । পরবর্তীতে অভিজ্ঞ বিদেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্বাবধানে থাকার সুযোগ ছিল। অবিরাম প্রচেস্টার পরও পাসপোর্ট মিলছে না। নানা অজুহাতে আটকিয়ে দেয়া হচ্ছে। একজন ক্যানসার রুগী-জাতীয় নেতার সাথে এ নিষ্ঠুর -অমানবিকতার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।
মূলত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টবর পল্ট্ন ট্রাজেডির প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় আসা ফখরুদ্দিন -মঈনুদ্দিন গংদের আমল থেকে এই বিড়ম্বনা শুরু। একাধিক সরকারি গুয়েন্দা সংস্থার সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে সেই থেকে । কোন ফরমাল মামলা নেই – চার্জশিট নেই। অথচ হয়রানির শেষ নেই। জীবনের এই কঠিনতম সময়ে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মহল এড়াতে পারবেন না ।
অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী একজন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও শিক্ষাবিদ। অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্টান – স্কুল ,কলেজ , মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা ও পরিচালক। দক্ষ সংগঠক – জাতীয় রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য এবং সিলেট যৌথ জেলার সাবেক আমীর। ছাত্র জীবনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বৃহত্তর সিলেট জেলা সভাপতি ছিলেন। একজন সফল উদ্যোক্তা ব্যাবসায়ী। সিলেটের পাইওনিয়ার প্রতিষ্টান আল হামরা শপিং সিটির প্রতিস্টাতা ভাইস চেয়ারম্যন। সর্বোপরি তিনি একজন গনবান্ধব নেতা – জননন্দিত জননেতা। নির্বাচনী এলাকা জকিগন্জ – কানাইঘাটের মাটি ও মানুষের সাথে সুখে -দুঃখে একাকার হয়ে যাওয়া সর্বজন শ্রদ্বেয় বিরল ব্যক্তিত্ব।
অদৃশ্য কন্ট্রোল পয়েন্ট থেকে নাজেহালের ধারাবাহিক অপচেষ্টা তাঁকে একটুও দমাতে পারেনি। সকল কর্মসূচি তিনি পালন করে গেছেন অবলীলায়। ফরমায়েশী তদন্ত সংস্থা বহু ফিকির করে কোন কালিমা লেপন করতে পারেন নি । শুধু তাই নয় বীর মুক্তিযুদ্বাদের হুংকারে কল্পিত গাল-গল্পের ঝুলি নিয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। এখানেই মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর চরিত্রের ক্যারিশমা।
জীবন – মৃত্যু – অবস্থার ফায়সালা ” মালিকের ” হাতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাসপোর্ট হাতে না পাওয়াটা খুবই দুঃখজনক। আসা করতে চাই কর্তৃপক্ষের বুধোদয় হবে। জঘন্য লুকোচুরি বন্ধ করে অনতিবিলম্বে পাসপোর্ট হস্তান্তর করবেন।
এমন ক্ষণজন্মা রাজনীতিবিদ মাওলানা ফরিদ চৌধুরীদের আজ বড় বেশী প্রয়োজন। মহান রাহমানুর রহিম আল্লাহ তায়ালা বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম অভিভাবক , সিলেটের রাজনীতির জীবন্ত – কিংবদন্তী এই আলেমে -দ্বীন কে সুস্থ করে ময়দানে ফিরিয়ে দিন – হায়াতে তাইয়েবা দরাজ করুন। আমিন।
sirajulislamshaheen@yahoo.com

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে