ইউরোবাংলা ডেস্কঃ বি এম কোম্পানি দাবি করেছে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষেত্রে তারা বাস্তবমুখী অগ্রগতি অর্জন করেছে। সোমবার কোম্পানিটি ১২৭ কিউবিট ক্ষমতাসম্পন্ন কোয়ান্টাম প্রসেসর এর ঘোষণা দিয়েছে। আইবিএম দাবি করেছে ইগল নামের এটি হচ্ছে এমন এক কোয়ান্টাম প্রসেসর যা প্রচলিত সুপার কম্পিউটারে অনুকরণ করা যাবে না। এ দ্বারা কি বোঝানো হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কোম্পানিটি বলে যে, ঈগল কোয়ান্টাম প্রসেসর অনুকরণ করতে হলে সারা দুনিয়ায় যত মানুষ আছে তাদের দেহের সমসংখ্যক এটমের চাইতেও বেশি সংখ্যক প্রচলিত কম্পিউটার প্রসেসর এর দরকার হবে। আইবিএম এর মতে নতুন এই অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে কারণ এই প্রযুক্তিতে প্রসেসরের কন্ট্রোল সমূহ কয়েক স্তরভিত্তিক ফিজিক্যাল স্তরে বিন্যাস করা গেছে এবং কিউবিটগুলোকে একক স্তরে সাজানো গেছে। নতুন ডিজাইনের ফলে কম্পিউটারের পাওয়ার অনেক বেশি বেড়ে গেছে।

ঈগলের একটি দিক হচ্ছে এর কোয়ান্টাম ভলিউম তবে আইবিএম এই বিষয়ে এখনই কিছু বলছে না। এটি হচ্ছে আইবিএমের চালু করা কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষমতা সম্পর্কে একটি পরিমাপ যা এর বিভিন্ন উপকরণের ক্ষমতাকে এক সঙ্গে বিবেচনা করে। এটি কেবলমাত্র কিউবিটকেই বিবেচনায় ধরে না বরং এর বিভিন্ন অংশ কিভাবে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে সেটিও বিবেচনায় নেয়। কোয়ান্টাম ভলিউম যত বেশি হবে, তত দক্ষতার সাথে এটি কঠিন সমস্যা সমাধান করতে পারবে।

“আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ১২৭ কিউবিট কম্পিউটার আইবিএম ক্লাউড প্লাটফর্মে আইবিএম কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক এর বাছাই করা সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।“ বললেন জেরি চাও, আইবিএম কোয়ান্টাম হার্ডওয়ার ডেভলপমেন্ট ইউনিটের পরিচালক।

ঈগল প্রসেসর এর পুরোপুরি ভলিউম জানার আগে এটা বলা শক্ত যে বাজারে প্রচলিত অন্যান্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাথে এর পার্থক্য কোথায়। গত অক্টোবর মাসে হানিওয়েল দাবি করে যে এর সিস্টেম মডেল h1 এ ১২৮ কিউবিট ভলিউম আছে যা মাত্র ১০‌টি কিউবিটের সাথে যুক্ত। উল্লেখ্য এ বছরের শুরুর দিকে আইবিএম 64 ভলিউম সম্পন্ন 27 কিউবিট সিস্টেমের ঘোষণা দেয়। সেটি ছিল ইন্ডাস্ট্রির প্রথম। পরিষ্কারভাবেই কোম্পানির নতুন প্রসেসর অনেক বেশি শক্তিশালী তবে কোয়ান্টাম ভলিউম খুব বেশি তথ্য আমাদেরকে দেয় না।

ঈগল সম্পর্কে লক্ষণীয় বিষয় হলো আইবিএম এর মাধ্যমে কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি দাবি করছে না। কোম্পানির মতে এটি হলো সে লক্ষ্যে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া। তবে প্রসেসরটি এখনো ওই জায়গায় পৌঁছে নাই যে, এটি এমন সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে যা বাজারে প্রচলিত সাধারণ কম্পিউটার করতে সক্ষম নয়। ২০১৯ সালে তাদের সিকামোর সিস্টেম এমনটি করতে সক্ষম বলে দাবি করে গুগোল একটি বিতর্কের ঝড় তোলে। সে সময় আইবিএম গুগলের দাবী প্রমাণযোগ্য নয় বলে ঘোষণা করে কেননা তাদের সিস্টেমটি কেবলমাত্র একটি সমস্যা সমাধান কে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছিল।

আগামী মাসে আইবিএম তাদের কোয়ান্টাম নেটওয়ার্কের বাছাই করা সদস্যদের জন্য ঈগল প্রসেসর সুলভ করবে।

 

 

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে