বাড়ি বিশ্ব বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাঃ ইউরোপে ফের লকডাউনের আশংকা

বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাঃ ইউরোপে ফের লকডাউনের আশংকা

73
0

ইউরোবাংলা ডেস্কঃ চতুর্থ দফা করোনা অতিমারী আঘাত হানতে যাচ্ছে ইউরোপে। আগে ভ্যাক্সিন নিয়েছেন এমন লোকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড।

অস্ট্রিয়ায় কাফেতে ভ্যাক্সিন পাসপোর্ট চেক করছে পুলিশ।

জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল নতুন করে লকডাউন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বেশী আক্রান্ত রাজ্যগুলিতে “অনির্দিষ্ট” ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে। মিসেস মার্কেল বলেন, “এখন এবিষয়ে পদক্ষেপ নেবার সময় এসেছে। যারা ভ্যাক্সিন নেয়নি তাদের শুড়ি খানা, হোটেল, রেস্তোরা এবং সিনেমা হলে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ভাবছেন তিনি। তবে এটি নির্ভর করবে হাসপাতালগুলো কেমন চাপ মোকাবেল করছে তার ওপর।

যদি ভাইরাসের হার বৃদ্ধি পায়, গভর্নরদের আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। এমন কি যারা কোভিডের দুইটা টীকা নিয়েছেন তারাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে।

প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া, এই সপ্তাহে প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসাবে টিকাহীনদের লক ডাউনে পাঠিয়েছে। তবে শুক্রবার সরকার এক বৈঠকে বসবে সারাদেশে তা সম্প্রসারিত করবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। হাসপাতালের বারান্দায় কোভিডে মৃতদের দেহ পড়ে আছে এমন রিপোর্টে প্রকাশ হবার পর সরকার বেশ উদ্বিগ্ন।

সালজবার্গ এবং আপার অস্ট্রিয়ার রাজ্যগুলি আগামী সপ্তাহে এক মাস ব্যাপী পূর্ণ লকডাউনে প্রবেশ করবে। রাজ্যের নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রের রক্ষণশীল চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার স্কালেনবার্গের মধ্যে শুক্রবার অনুষ্ঠিত আলোচনার ফলাফল যাই হোক না কেনো।

ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি বৃহস্পতিবার নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলির উপর চাপবাড়ার কারণ হিসাবে লোকদের টীকা না নেওয়া এবং কোভিডের ডেল্টা ভেরিয়েন্টকে দায়ী করেছে।

যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার ৪৬,৮০৭ টি কোভিড সক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে – যা ২২ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। তবে লোকদের হাসপাতালে ভীর করার হার কম।

স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে ফেস মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল এবং ইতালিতে, সংক্রমণের হার কম থাকলেও তা এখন বাড়ছে। জার্মানিতে ৬৫,৩৭১ টি নতুন কেস রেকর্ড করা হয়েছে । এটি আরেকটি রেকর্ড – যেখানে এক সপ্তাহ ব্যাপী সংক্রমণের হার প্রতি ১০০,০০০ জন ৩৩৬.৯ জনে দাঁড়িয়েছে। যা যুক্তরাজ্যের চেয়ে কিছুটা বেশি।

মিসেস মার্কেলের ঘোষিত পরিকল্পনার অধীনে, জার্মান অঞ্চলগুলি হাসপাতালের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে একটি পর্যায়ক্রমিক বিধিনিষেধ চালু করবে।

রেস্তোঁরা, বার, জিম, সিনেমা এবং ইভেন্টগুলিতে প্রবেশাধিকার তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে যারা টিকা নেয়া বা কোভিড থেকে আরোগ্যের প্রমাণ দেখাতে পারবেন।

যে সব অঞ্চলে কোভিড ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে টিকা দেওয়া লোকদেরও সাম্প্রতিক নেতিবাচক পরীক্ষার প্রমাণ দেখাতে হবে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলি টিকা দেওয়া আছে এমন লোকদের জন্যও লকডাউন বা অন্যান্য অনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে