ইউরোবাংলা রিপোর্টঃ ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম ওয়েলফেয়ার স্কিম ব্রিটেনে দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সাহায্য করবে এমনটাই দাবি করা হয়েছে নতুন প্রকাশিত এক রিপোর্টে।
ওয়েলসের ফিউচার জেনারেশন কমিশনার কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে এই পদক্ষেপ সামগ্রিকভাবে ওয়েলসের দারিদ্র্যের হার ৫০ ভাগ এবং শিশু দারিদ্র্যের হার ৬৪ ভাগে কমিয়ে আনবে।
এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো দেশের ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকল নাগরিককে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয়া।
তবে প্রকল্পের সম্মেলনে দাবি করেছেন যে এই অবস্থা লোকদেরকে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করবে এবং যারা ধনী তাদের কে অতিরিক্ত অর্থ দেবে।
আগামী বছর ওয়েলফেয়ার হোম এ বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিয়ে একটি পাইলট স্কিম চালু করবে। ৫০০০ এর কম লোক এর অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কিন্তু ফিউচার জেনারেশন এর কমিশনার সোফি হাওয়ি চান শিশু, চাকুরীজীবী, বেকার, পেনশনভোগী এবং কেয়ার হোমের বাসিন্দারা এই ট্রায়ালের অংশ হোক।
আজ প্রকাশিত থিংক ট্যাংক অটোনোমি’র এক গবেষণায় বলা হয়েছে ২৫০০ জনের মধ্যে পরিচালিত একটি পাইলট স্কিনের জন্য ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হবে যেখানে প্রাপ্তবয়স্করা প্রতি সপ্তাহে ৬০ পাউন্ড করে বেতন পাবেন।
ওয়েলস পার্লামেন্টের পিটিশন কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিতে যাওয়া মিস হাওয়ি বলেন, এই স্কিম সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা এবং সমৃদ্ধ ওয়েলস তৈরিতে সাহায্য করবে যা সমাজকে সম্পূর্ণ রূপান্তরিত করতে পারে।
ওয়েলসে ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের ট্রায়াল’ সবার জন্য সমৃদ্ধি আনবে। এটি লোকদেরকে টিকে থাকার সংগ্রামে অবলম্বন হিসেবে ভূমিকা রাখবে। এটি স্বাস্থ্যকর ও সমান অধিকার প্রাপ্ত জনসংখ্যা তৈরি করবে।
অটোনমি’র সহ-পরিচালক উইল স্ট্রং বলেন, মৌলিক আয়ের প্রবর্তন করার জন্য ওয়েলসের জনগনের মধ্যে তীব্র সমর্থন রয়েছে এবং এই ব্যাপক গবেষণাটি আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটি রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে।
কোভিড-১৯ এর ফলে জনগণ যে প্রচন্ড ধাক্কা খেয়েছে ভবিষ্যতে সেই অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য এরকম একটি সাহসী পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক।
প্যানডেমিক এর কারণে অর্থনীতি এবং সভার বাজার নিজের পায়ে দাঁড়াতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সবার জন্য একটি মৌলিক আয় নিশ্চিত করা জীবিকা নিশ্চিত করার সবচেয়ে প্রগতিশীল উপায়।
ওয়েলস সেনেডের ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাক সার্জেন্ট বলেছেন, এটি এমন একটি ধারণা যা আমাদের বিবেচনা করে দেখা উচিত।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সাহসী ধারণা এবং পরিবর্তনকে ভয় পাওয়া উচিত নয়। আমাদের উচিত যে সমস্ত প্রমাণাদি আছে সেগুলোকে বিবেচনায় নেয়া।
২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ড ইউনিভার্সাল ইনকামের একটি প্রকল্প পরিচালনা করেছিল। এক পর্যালোচনায় দেখা যায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের জীবন নিয়ে বেশি সন্তুষ্ট ছিলেন এবং কম মানসিক চাপ, হতাশা, দুঃখ এবং একাকীত্ব অনুভব করেছিলেন। তাদের অবস্থান যারা বেকার ভাতা পান তাদের থেকে কিছুটা ভাল ছিল।
তবে ফিনিশ স্কিম টি ব্যর্থ হিসেবে পরিত্যক্ত হয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কিন্তু খুব অল্প সময়ের জন্য চালু করা হয়েছিল এবং খুব দ্রুত এ বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছা হয়েছে।