
ইউরোবাংলা রিপোর্টঃ এক সময় ছিল যখন মোবাইল ফোন মানেই ছিলো নোকিয়া। ১৯৯৬ থেকে শুরু করে ২০১১ সাল প্রর্যন্ত নোকিয়া ফিচার ফোন ছিল বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর একমাত্র মুঠোফোন। বাজারে নোকিয়ার জয়জয়কার ছিল ৯০ – ৯৫ শতাংশ। তবে এন্ড্রয়েড আর আই ওস এর কারণে নোকিয়া বাংলদেশ থেকে নির্বাসিতই ছিলো বলা যায়। এখন ব্রান্ডটির সুদিন আবার ফিরে আসতে পারে বাংলাদেশে। অতীত সুনামের কারণে নির্ভরযোগ্য ফোন হিসেবে আবারো বাংলাদেশী ক্রেতাদের হাতে উঠতে পারে নোকিয়া ব্রান্ড।
বাজার চাহিদা বাড়াতে নোকিয়ার এখনকার নীতি হলো তাদের পণ্যকে স্থনীয় বাজারে উৎপন্ন করা। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নোকিয়া তাদের মুঠোফোন তৈরী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নোকিয়া মোবাইল এর নাম দিয়েছে মেইড-ইন-বাংলাদেশ। নোকিয়া মোবাইল যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ভাইব্র্যান্ট সফ্টওয়্যার এবং বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপের সাথে প্রতি মাসে প্রায় ৯০০০ ডিভাইস উৎপাদনের চুক্তি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কম খরচের নোকিয়া জি১০ এবং নোকিয়া জি-২০ স্মার্টফোন।
ফোনগুলি গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে তৈরি করা হবে। উৎপাদন সুবিধাটি চারটি অ্যাসেম্বলি লাইন এবং দুটি প্যাকেজিং লাইন সহ একটি দ্বিতল কারখানা এবং প্রতিদিন ৩০০ ফোন উৎপাদন করবে। কারখানাটির নিজস্ব টেস্ট ল্যাবও রয়েছে এবং প্রায় ২০০ জনকে নিয়োগ করবে। ইউনিয়ন গ্রুপ নোকিয়াকে বাজারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে নতন সুযোগকে ব্যবহার করবে। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত নোকিয়া স্মার্টফোন শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা হবে না। কোম্পানীটি অন্যান্য বাজারে ফোনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ রপ্তানি করার পরিকল্পনা করেছে।