লন্ডন, ২১ ডিসেম্বর ২০২১: বাংলাদেশের মহান বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করলো শহীদ-গাজী ফাউন্ডেশন ইউকে। সংগঠনের চেয়ারম্যান শহীদ সন্তান সাংবাদিক আকবর হোসেনের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় রোববার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘বিজয়ের কথা‘য় অংশগ্রহণ করেন লন্ডনের প্রখ্যাত শিল্পী ও আবৃত্তিকার সহ বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানে কবিতা ও গানের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবী জানান।
অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিমাংশু গোস্বামী, জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আলাউর রহমান, বিলেতে বেড়ে উঠা তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণ শিল্পী শাহীদ ফালাহী, এ প্রজন্মের একজন উদীয়মান শিল্পী, চ্যানেল আই সঙ্গীত প্রতিযোগিতার সেরা পাঁচ বিজয়ী শিল্পী শারীফ, কায়েস আজিজ, আদনান সামী হাসান ও বায়জিদ আল বান্না। কবিতা আবৃত্তি করেন সংবাদ পাঠক ও বিশিষ্ট কলামিষ্ট ডাঃ জাকি রিজওয়ানা আনোয়ার, স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও এন্ড অনলাইন টিভি‘র
পরিচালক মিছবাহ জামাল, আবৃত্তি শিল্পী নাজমুল হোসেন ও আবু সাঈদ আনসারী প্রমূখ।
আকবর হোসেন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়। দিনটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের কিন্তু এর সাথে জড়িত আছে অনেক ত্যাগ-তীতিক্ষা ও আত্মদান। আমরা আমাদের বাবা হারিয়েছি, মা হারিয়েছি, মা বোনেরা তাদের ইজ্জত হারিয়েছে। এটি আমাদের জন্য অনেক বেদনাদায়ক, অনেক কষ্টের। তারপরও আমাদের দুঃখ নেই। এর বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ, একটি স্বাধীন ভূখন্ড এবং লাল সবুজের একটি পতাকা। এটিই আমাদের বড় পাওয়া। আমরা বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সে সকল বীর শহীদদের যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এনে দিয়েছে স্বাধীনতা। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের। আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদান কারী সকল নেতৃবৃন্দ সহ শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বৃহত্তর সিলেটের জগন্নাথপুর উপজেলাধীন ভাটি বাংলার অন্যতম নৌবন্দর রানীগঞ্জ বাজারে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকান্ডে আকবর হোসেনের বাবা আকলু মিয়া সহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ শহীদ হন। আজো পর্যন্ত সে সকল শহীদদের কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি, সঠিক কোন তালিকা হয়নি।