বাড়ি সম্পাদকীয় রাজনৈতিক ইসলাম এবং উত্তর আফ্রিকার গণতন্ত্র সংকট

রাজনৈতিক ইসলাম এবং উত্তর আফ্রিকার গণতন্ত্র সংকট

77
0

কামাল শিকদারঃ

গত বছর সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে মরোক্কোর শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (পিজেডি) পরাজিত হয়েছে বলে যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন মিশরের সরকারী প্রচার মাধ্যমের মুখপত্রগুলো এই সংবাদটি উদযাপন করে যেন পিজেডির পরাজয় মিশরীয় মুসলিম ব্রাদারহুডের জন্য একটি আঘাত। আঞ্চলিকভাবে, রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা যারা তাদের বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন ইসলামিক রাজনৈতিক দলকে বদনাম করার জন্য উৎসর্গ করেছেন প্রায়শই এটা বলার চেষ্টা করেন যে, রাজনৈতিক ইসলাম তত্ত্ব এবং অনুশীলন উভয়ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে।

বিবিসির ইংরেজি ওয়েবসাইটে মাগদি আবদেলহাদি লিখেছেন, ‘আঞ্চলিকভাবে (পিজেডি’র) ব্যর্থতার খবরকে উল্লাসের সাথে স্বাগত জানানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধারাভাষ্যকাররা পিজেডির পতনকে রাজনৈতিক ইসলামের কফিনে চূড়ান্ত পেরেক হিসেবে বিবেচনা করেছেন।’

এই ধরনের সোজা সাপ্টা  ঘোষণা থেকে যে বিষয়টি অনুপস্থিত  তা হলো যারা পিজেডির পরাজয়কে ‘উল্লাস’ ভরে অভিবাদন জানিয়েছেন তারা বেশিরভাগই সেই সব লোক যারা ২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’ এর অভূতপূর্ব উত্থানের সময়ও রাজনৈতিক ইসলামকে বরখাস্ত করেছিল।  এবং এরা একই বুদ্ধিজীবী সৈন্য যারা নির্লজ্জভাবে মিশরের জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং উপসাগরীয় বিভিন্ন আরব রাজতন্ত্রের মতো স্বৈরশাসকদের নিলর্জ্জভাবে প্রশংসা করেন।  

পিজেডি কেবল পরাজিতই হয়নি, ভোটের ফল থেকে দেখা গেছে যে,  দলটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা  ২০১৬ সালের নির্বাচনে জেতা ১২৫ টি আসনের মধ্যে মাত্র বারোটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়। তবে এই ধরনের ব্যর্থতার পেছনের কারণগুলো বিভিন্ন মহল, সরকার এবং ব্যক্তিদের দ্বারা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে পুরানো ঝাল নিষ্পত্তি করা এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের কলঙ্কিত করা। এখানে চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো আরব জাতিগুলির ভাগ্য নির্মম, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং আত্ম-বিশালশাসকদের দখলে রয়েছে যারা প্রকৃত রাজনৈতিক বহুত্ববাদিতা  এবং গণতন্ত্রকে সহ্য করে না।    

যারা সাধারণ, একাডেমিক ধারণার মাধ্যমে আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি দেখার উপর জোর দেয়, তাদের জন্য মরোক্কোর নির্বাচনের ফলাফল আরও অনুসন্ধানের একটি নিখুঁত সুযোগ প্রদান করেছে। তিউনিশিয়ায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে এই নতজানু, ক্লিশে প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রধান শিকার তিউনিশিয়ার গণতন্ত্র ছাড়াও, ইসলামপন্থী আন নাহদা  দল।

তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্রের সংকট

২৫ জুলাই তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতি কাইস সাইদ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন যা কার্যকরভাবে দেশটির সমগ্র গণতান্ত্রিক অবকাঠামোকে ধ্বংস করে দেয় এবং তার হাতে সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে।

আন নাহদাসহ দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দূর্বল কর্মক্ষমতা এবং স্থানীয় অক্ষমতার সুযোগ নিয়ে এবং সেই সাথে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট এবং সাধারণ তিউনিশিয়ার নাগরিকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের সুযোগ নিয়ে সাইদ তার কর্মকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্র ও সমাজ রক্ষার’ উপায় হিসেবে সমর্থন করেছেন।  

সত্যিকারের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাহীন একজন শিক্ষাবিদ, সাঈদ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার বা এর অনেক আর্থ-সামাজিক ব্যাধি ঠিক করার জন্য কোনো রোডম্যাপ দেননি। পরিবর্তে, ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনি সরকার গঠনের জন্য অন্য একজন অনভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যিনি একজন শিক্ষাবিদ, নাজলা বাউদেন রামধনেকে নিয়োগ করেছেন। এই পদের জন্য একজন মহিলাকে বেছে নেওয়ার কারণ – তাকে প্রথম আরব মহিলা প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে  সম্ভবত সাইদ  প্রগতিশীল রাজনীতির বার্তা দিতে চেয়েছেন।  এর মাধ্যমে তিনি নিজেকে আরও বেশি সময় দিতে চেয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে কি?

জুলাই মাস থেকে সাইদের রাজনৈতিক কর্মসূচী পর্যালোচনা করতে গিয়ে দ্য ইকোনমিস্ট যুক্তি দিয়েছিলেন যে, তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং উন্নয়নের তহবিল থেকে অর্থ ব্যবহার করা ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রত্যাশিত পরিকল্পনা খুব কমই  ঘোষণা করেছেন’। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সাইদের কৌশল হল ‘ব্যবসায়িকদের ডিসকাউন্ট দিতে বলা’, লন্ডন-ভিত্তিক প্রকাশনা অনুসারে,  যা একটি দেশের বিধ্বস্ত অর্থনীতির আমূল পুনর্বিন্যাস  করতে খুব কম ভূমিকা রাখতে পারে।

তিউনিসিয়ার উদীয়মান গণতন্ত্রকে সাধারণ, বেকার এবং দরিদ্র মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অনুভব করা যায় এমন একটি বাস্তব ঘটনায় পরিণত করতে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হয়ে তিউনিসিয়ার জনমত বছরের পর বছর ধরে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এই ছোট জাতি, যারা ২০১১ সালে গণতন্ত্রের মাধ্যমে পরিত্রাণ চেয়েছিল, এখন গণতন্ত্রকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সাথে মিলিয়ে দেখছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আরব ব্যারোমিটার পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা যায়, তিউনিশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ নাগরিক অর্থনৈতিক ফলাফলের দিক থেকে গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করে। যেহেতু গত এক দশকে দেশটি শাসনকারী একের পর এক সরকারের অধীনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা যায়নি, তাই তিউনিশিয়ার ৮৭ শতাংশ নাগরিক তাদের রাষ্ট্রপতির সংসদ বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। তারা হয়তো আশা করেছিল যে, সাইদের পদক্ষেপগুলি বিধ্বংসী অর্থনৈতিক সংকটকে ঠিক করতে পারবে। তবে এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, তিউনিশিয়াকে লেবানন এবং অন্যান্য ব্যর্থ অর্থনীতির মর্মান্তিক পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কোন সুস্পষ্ট পরিকল্পনা সাইদের নেই, বিক্ষোভকারীরা আবার রাস্তায় নেমে আসছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বহুত্বে ফিরে আসার দাবি জানাচ্ছে।  

নির্ণায়ক বনাম গতিশীল রাজনীতি

২০১০ সালের শেষের দিকে তিউনিসিয়ায় যখন বিদ্রোহ শুরু হয় এবং সমগ্র আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, তখন মনে হয়েছিল যে, স্বৈরশাসকদের পতন এবং গণতন্ত্রের উত্থান অনিবার্য।  এছাড়াও ইসলামী দলগুলোর উত্থান নিশ্চিত বলে মনে হয়েছিল।  যারা মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা জুড়ে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য বিজয় অর্জন করেছে। মিশরের ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) – যেটি দেশটির মুসলিম ব্রাদারহুড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল – ২০১১ সালের সংসদ নির্বাচনে ৩৭ শতাংশ ভোট জিতেছিল, মরক্কোর PJD পার্লামেন্টে মোট আসনের ২৫ শতাংশের বেশি দখল করেছিল এবং আন নাহদা ২১৭ টি আসনের মধ্যে ৮৯টি আসন পেয়েছিল।  

সেই সময় ইসলামিক দলগুলোকে নিয়ে আলোচনা করা সাধারণ ব্যাপার ছিল যেন তারা সবাই একই আদর্শগত আন্দোলনের শাখা। বস্তুত, কারও কারও দৃষ্টিতে, এমনকি একই রাজনৈতিক আন্দোলন। ‘রাজনৈতিক ইসলাম’ ‘আরব বসন্ত’ এর সমার্থক হয়ে ওঠে। কেউ কেউ এটাকে ‘মধ্যপন্থী’ মুসলমানদের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। প্রান্তিক, নির্বাসিত এবং প্রায়শই নির্যাতিত এবং হত্যার শিকার হওয়া ইসলামী দলের নেতা-কর্মীদের  অবশেষে নিজেদের দাবী প্রতিষ্টা করার একটা সুযোগ দিয়েছিল  এটি।  অন্যরা, যেমন ইজরায়েলি এবং দক্ষিণপন্থী পশ্চিমা বুদ্ধিজীবী এবং রাজনীতিবিদরা, একে ‘ইসলামিক উইন্টার’ হিসেবে দেখেছে তার এই প্রবণতার নিন্দা করেছে। তারা দাবি করেছে যে, গণতন্ত্র এবং ইসলাম আরও বেশি পশ্চিমা এবং ইজরায়েলি বিরোধী আবেগকে সমর্থন করবে।  

প্রায়শই এই আলোচনাগুলির বেশিরভাগ থেকে অনুপস্থিত ছিল জাতীয় প্রেক্ষাপট যার অধীনে সমস্ত আরব রাজনীতি, ইসলামিক-ঝোঁক বা অন্যথায় কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, মরোক্কোতে, রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ গণতন্ত্রীকরণের যুগে রাজতন্ত্রের টিকে থাকা নিশ্চিত করার জন্য তার নিজস্ব রাজনৈতিক খেলা খেলেছিলেন। তিনি দ্রুত ইসলামপন্থীদের তার কাছাকাছি নিয়ে আসেন, গণতন্ত্রের আবরণ প্রদান করেন, এবং কার্যত এর মাধ্যমে ক্ষমতার সমস্ত দিক ধরে রেখেছিলেন।

যদিও একটি চূড়ান্ত বিশ্লেষণে পৌঁছাতে সময় লাগবে, এটা সম্ভব যে, পিজেডির পতন ক্ষমতার খুব সীমিত অংশের বিনিময়ে তার ঘোষিত নীতিগুলির সাথে আপোস করার মানসিকতার ফল। সত্যিই, কখনও কখনও মনে হত যে, ইসলামিক দল, যেটি দেশকে একক ব্যক্তির শাসন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য নির্বাচিত হয়েছিল, সেটি রাজার সরকারী রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইজরায়েল রাষ্ট্রের সাথে মরোক্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি পিজেডির আপাত মেনে নেওয়ার ফল হিসেবে জনগন দলটিকে নির্বাচনে প্রত্যাখান করে।

তবে মরোক্কোতে ইসলামপন্থীদের সাম্প্রতিক পরাজয়কে রাজনৈতিক ইসলামের সংকট হিসেবে দেখা উচিত নয়, কারণ পরবর্তীটি একটি তাত্ত্বিক ধারণা যা ক্রমাগত প্রবাহিত এবং বিভিন্ন, প্রায়শই পরস্পর বিরোধী ধারণা, বিভিন্ন পণ্ডিতদের ব্যাখ্যা এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উন্মুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, পিজেডি ইজরায়েলের সাথে রাজার  সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিষয়ে স্বাক্ষর করলেও আন নাহদা তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিটি ইসলামিক দল বিভিন্ন অগ্রাধিকারের মূল্যবোধ অনুযায়ী আচরণ করে বলে মনে হয় যা সেই দলের জন্য অনন্য, তার আর্থ-সামাজিক বিন্যাস, জাতীয় প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং শেষ পর্যন্ত, তার নিজস্ব অনন্য স্বার্থের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।  

আশাবাদের কারণ

‘রাজনৈতিক ইসলামের কফিনে PJD-এর পতন (হচ্ছে) চূড়ান্ত পেরেক’-এর মতো বিমূর্ত ধারণা এবং সাধারণীকরণের আশ্রয় না নিয়ে, একটি বিকল্প এবং আরও বুদ্ধিমান সবক নেয়া সম্ভব। প্রথমত, বেশিরভাগ আরব ভোটাররা, সব জায়গার ভোটারদের মতো, রাজনীতিবিদদের বিচার করে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে, বাগাড়ম্বর, স্লোগান দ্বারা নয়। এটা ইসলামি দলগুলোর জন্য যেমন সত্য তেমনি সমাজতন্ত্রী, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী এবং অন্য সকলের ক্ষেত্রেও সত্য। এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য তেমনি বাকি বিশ্বের জন্যও প্রযোজ্য।  

দ্বিতীয়ত, মরক্কো একটি অনন্য রাজনৈতিক স্থান যাকে তিউনিসিয়া থেকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে, এবং পরেরটিকে মিশর বা ফিলিস্তিন থেকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। যদিও রাজনৈতিক ঘটনার কথা বলা একাডেমিকভাবে উপযুক্ত, সাধারণীকরণগুলি দৈনন্দিন রাজনৈতিক ফলাফলগুলিতে সহজে প্রয়োগ করা যায় না।

তৃতীয়ত, পিজেডি নিঃশব্দে বিরোধী দলের সারিতে ফিরে যাচ্ছে এবং আন নাহদা যথেষ্ট রদবদল এনেছে, এটি একটি ইঙ্গিত যে ইসলামিক দলগুলি কেবল তত্ত্বগতভাবে নয়, বাস্তবেও গণতন্ত্র এবং গঠনমূলক বহুত্বের যেমন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তন, আত্ম-সমীক্ষা এবং আত্ম-অনুসন্ধানের মতো কিছু প্রধান স্তম্ভ গ্রহণ করেছে।

যারা রাজনৈতিক ইসলাম মারা গেছে এই ভুল ধারণায় নিজেদের সান্ত্বনা দিয়েছেন, তারা তাদের আত্ম-প্রতারণায় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভাজন এবং বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উত্থানের পর ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার ‘ইতিহাসের সমাপ্তি’ তত্ত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এই ধরনের অস্থায়ী চিন্তাভাবনা কেবল অযৌক্তিকই নয়, এটি নিজেই আদর্শগতভাবে অনুপ্রাণিত ইচ্ছাকৃত চিন্তাভাবনার ফলাফল। শেষ পর্যন্ত, ইতিহাস গতিশীল আছে, যেমনটি সবসময় থাকবে।

যদিও জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, আন নাহদা এবং অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোর অনেক কিছু করার আছে, এটা মনে রাখতে হবে যে, ভবিষ্যত নির্ধারণমূলক ধারণার দ্বারা নয় বরং গতিশীল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যা ক্রমাগত পরিবর্তনশীল এবং এর ফলে নতুন ফলাফল তৈরি করে। এটি উত্তর আফ্রিকায় যতটা সত্য ততটাই প্রমাণিত হয়েছে বিশ্বের বাকি অংশে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে