কামাল শিকদারঃ ৭ নভেম্বর হারেটজ রিপোর্ট করেছে যে খলিফা হাফতারের ছেলে সাদ্দাম হাফতার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে একটি ব্যক্তিগত ফরাসি নির্মিত ডাসল্ট ফ্যালকন জেটবিমানে করে লিবিয়ায় যাওয়ার আগে ৯০ মিনিটের সফরে ইজরায়েলে অবতরণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাফতার ও তার ছেলের উদ্দেশ্য ছিল ‘ইজরায়েলের কাছ থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা’ নিশ্চিত করা।
লিবিয়ার নির্বাচন ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত হওয়ায় তেল আভিভের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে এই সংক্ষিপ্ত অবতরণ হাফতারের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ ছিল। লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় স্বঘোষিত লিবিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনীর (এলএনএ) নেতৃত্ব দানকারী পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান হতে চাওয়া লিবিয়ার অন্যান্য নাগরিকদের থেকে নিজেকে আলাদা হিসবে প্রমাণ করতে চান।
দ্য নিউ আরবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের গবেষক জাল্লেল হারচাউয়ি বলেছেন, ‘এটি হাফতারকে বাকি প্রার্থীদের থেকে আলাদা করার এবং এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একটি উপায় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখে মূল্য থাকার কথা। কিন্তু অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য যারা হাফতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সংযুক্ত আরব আমিরাত এই অঞ্চলে তার সক্রিয়তার মাধ্যমে যা করছে তা গ্রহণ করে আসছে। যার অর্থ মিশর, ফ্রান্স, মরোক্কো এবং আপনিও এই তালিকায় নাম লেখাতে পারেন।’ ‘এটা হাফতারের এই কথাবলার একটি উপায় যে ,”আপনি যদি আমাকে রাষ্ট্রপতি হতে সমর্থন করেন, তাহলে আমি আপনাকে এমন কিছু দিতে সক্ষম যা অন্য কেউ দিতে পারবেনা না।”
হাফতার এবং ইজরায়েলিদের মধ্যে সম্পর্ক কোন নতুন বিষয় নয়। এটি ১৯৮৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজি ইন দ্য ফরেন পলিসি প্রোগ্রামের একজন অনাবাসী ফেলো ডঃ ফেডেরিকা সাইনি ফাসানোত্তি ব্যাখ্যা করেছেন, ‘লিবিয়া এবং ইজরায়েলিদের মধ্যে কিছু সময় ধরে যোগাযোগ চলছে – সম্ভবত মোসাদ এবং অন্যান্য সংগঠনের মাধ্যমে – এবং এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে লিবিয়ার নির্বাচনের নৈকট্যের কারণে ইদানীং তা তীব্রতর হয়েছে।’
সাদ্দাম হাফতারের তেল আভিভ সফরের তাৎপর্যপূর্ণ দিক এটি নয় যে তার বাবার সাথে ইজরায়েলের মধ্যে ভালো সম্পর্ক আছে, বরং এটি গোপন না করে পুরো বিশ্বের কাছে জানানোর সিদ্ধান্তটিই ছিল দেখার দিক।
লিবিয়ার ভাঙন ও বিভাজন
রাজনৈতিকভাবে বলতে গেলে, পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায় প্রধান পার্থক্য রয়েছে যা উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইজরায়েল এবং বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের মধ্যে আব্রাহাম চুক্তিতে প্রবেশের যে কোন আলোচনার সাথে প্রাসঙ্গিক। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে রাজনৈতিক ইসলামের কোন অস্তিত্ব নেই। উত্তর পশ্চিম লিবিয়ায়, রাজনৈতিক ইসলাম অপরিহার্যভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় নাও হতে পারে, কিন্তু এটি বিদ্যমান।
যদিও পূর্ব লিবিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরের রাজনৈতিক ব্যবস্থার কিছুটা প্রতিফলন ঘটায়, তিউনিশিয়া এবং আলজেরিয়ার সাথে পশ্চিমের অনেক বেশি মিল রয়েছে। আর এই দেশ দুটিইতেই ফিলিস্তিনি উদ্দেশ্যকে ‘পবিত্র’ বলে মনে করা হয়, যেমনটি আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আবদেলমাদজিদ তেব্বুনে বলেছেন। এছাড়াও, পশ্চিম লিবিয়ায় তুরস্কের প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আঙ্কারা ফিলিস্তিনি সংগ্রামের রক্ষক হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা এখানে বিবেচ্য বিষয়।
এই প্রেক্ষাপটের মধ্যে, হাফতার রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন এবং দেশটিকে আব্রাহাম চুক্তিতে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে লিবিয়ায় বড় ধরনের উত্তেজনা ফেরানোর ঝুঁকি রয়েছে। হারচাউইয়ের মতে, ‘যদি আপনি ইসরায়েলের মতে এই স্বাভাবিককরণের মতো একটি বিষয় নিয়ে যদি আপনি আলোচনা করেন তবে আপনি লিবিয়ার পূর্ব অংশকে পশ্চিম অংশ থেকে আলাদা করার বিষয়টি আরও তীব্র করতে চলেছেন।’ সংঘাত-পরবর্তী যুগে লিবিয়ানদের একত্রিত করার দৃষ্টিকোণ থেকে এর ফলাফল বিষাক্ত হতে পারে।
ইউরোপভিত্তিক লিবিয়া বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চল সবচেয়ে জনবহুল অংশ, যেখানে জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি রয়েছে।’ ‘যখন আপনি জনসংখ্যার সেই অংশের দিকে তাকান এবং আপনি বলেন, “আমি এর মাধ্যমে ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ ঘোষণা করছি”, তখন আপনি [জাতিসংঘের নেতৃত্বে] সমস্ত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে যান… জাতির বিভাজন এড়ানোর চেষ্টা করতে, একীকরণ, পুনর্মিলন এবং অন্তর্ভুক্তিকরণ উৎসাহিত করার চেষ্টা করুন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির প্রভাব
তার পূর্বসূরির মতো, রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের লোকেরা বিশ্বাস করে যে আব্রাহাম চুক্তিতে আরও আরব দেশকে যুক্ত করা অবশ্যই মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য হতে হবে। এই অবস্থানের পিছনে একটি দ্বিদলীয় ঐকমত্য আমেরিকান আইন প্রণেতাদের মধ্যে বিদ্যমান। তাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, হাফতার লিবিয়াকে আব্রাহাম চুক্তিতে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওয়াশিংটনের সমর্থন নিশিত করতে পারেন। যদিও পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার বছরের পর বছর ধরে কিছু আমেরিকান কর্মকর্তার কাছ থেকে নিন্দা পেয়েছেন এবং সেইসাথে মার্কিন আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
হারচাউয়ের মতে, ‘অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী [মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে] আছেন যারা লিবিয়ার বাস্তবতা নিয়ে সত্যিই মাথা ঘামান না।’ তারা বলেন, “যদি আমাদের একজন হাই-প্রোফাইল নেতা থাকতে পারে যে ইজরায়েলকে আলিঙ্গন করে, তবে আমি বাস্তবে কী ঘটে তার বিশদ বিবরণ নিয়ে চিন্তা করি না। এটা এখন আরো এক ধাপ এগিয়ে।” এটি মূলত একই যুক্তি যা ট্রাম্পকে পশ্চিম সাহারার উপর মরোক্কোর সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিতে উতসাহিত করেছিল। এটি এমন যে, আপনি মাটিতে প্রকৃত স্থিতিশীলতার পরিণতি উপেক্ষা করেন, এবং আপনি বলেন, “ইজরায়েলের গ্রহণযোগ্যতার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি খুব সুন্দর বিজয়, এবং ঐ দেশের অভ্যন্তরে কী ঘটে তা নিয়ে আমি পরোয়া করি না।” ওয়াশিংটন ডিসিতে আপনার মতো একটা পুরো দল আছে, যারা এই রকমেরই চিন্তা করে।’
প্রকৃতপক্ষে, মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আরব অঞ্চলের মাটিতে আব্রাহাম চুক্তি কী পরণতি আনছে তা নিয়ে উদ্বেগের সম্পূর্ণ অভাব রয়েছে। ম্যাকিয়াভেলিয়ান পদ্ধতিতে, ওয়াশিংটনের অনেক নীতিনির্ধারক আরো আরব দেশকে ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উৎসাহিত করতে বিশ্বাস করেন, পরিণতি যাই হোক না কেন। পশ্চিম সাহারার উপর রাবাতের সার্বভৌমত্বের মার্কিন স্বীকৃতির বিনিময়ে মরোক্কোর আব্রাহাম চুক্তিতে প্রবেশের লেনদেনের প্রকৃতি মরোক্কো এবং আলজেরিয়ার মধ্যে কয়েক দশকের পুরনো উত্তেজনাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। তবে এটি ওয়াশিংটনের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাহরাইনে সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে আব্রাহাম চুক্তি যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে, সেই সাথে সুদানের ট্রাম্প প্রশাসনের চাঁদাবাজি কীভাবে দেশটির ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মারাত্মক ক্ষতি করেছে সে সম্পর্কেও একই কথা বলা যেতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার কূটনৈতিক অঙ্গনে ইজরায়েল আরও বেশি করে গৃহীত হচ্ছে যা ওয়াশিংটন এবং আবু ধাবির কর্মকর্তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ‘আপনার এই আত্মতুষ্টি রয়েছে যে, বাইডেন প্রশাসনকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈশ্বিকদৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করতে পরিচালিত করে,’ হারচাউয়ি ব্যাখ্যা করেন। ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি, ইজরায়েলের গ্রহণযোগ্যতা – এই সমস্ত দর্শনের জন্য আপনাকে বাস্তব জগতে যা ঘটে তা উপেক্ষা করতে হবে।’
লিবিয়ায় ইসরায়েলি স্বার্থ
লিবিয়া-ইসরায়েল সম্পর্ক শুধু হাফতারের স্বার্থেই কাজ করবে না। সুবিধা উভয় দিকে যেতে পারে। উত্তর আফ্রিকার দেশটির ‘অত্যন্ত কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান থেকে অফুরন্ত জ্বালানি শক্তি পর্যন্ত’ লিবিয়ায় ইসরায়েলের অনেক স্বার্থ রয়েছে, ডঃ ফাসানোত্তি ব্যাখ্যা করেন। ‘এই দাবা খেলায়, আমাদের ত্রিপোলিটানিয়ায় তুরস্কের ধারাবাহিক উপস্থিতি ভুলে যাওয়া উচিত নয় যা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অফশোর গ্যাসের ইস্যুতে ইসরায়েল এবং অন্যান্য দেশের সাথে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কারণে অবশ্যই একটি প্রাথমিক কৌশলগত ভূমিকা পালন করে।’
তার ছেলেকে ইসরায়েলে সফর করিয়ে, করমর্দন করে এবং ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সংকল্পের ইঙ্গিত দিয়ে, হাফতার ইজরাইলকে তার লিবিয়ার নেতা হওয়ার জন্য একটি নিহিত স্বার্থ প্রদান করছে। মার্কো কার্নেলোস, একজন প্রাক্তন ইতালীয় কূটনীতিক, উল্লেখ করেছেন, হাফতারের স্বাস্থ্য সমস্যা বিবেচনা করে তিনি লিবিয়ায় একটি পারিবারিক রাজবংশ প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজছেন যা তার ছেলেকে পরে ক্ষমতায় বসা নিশ্চিত করতে পারে। অতএব, ইজরাইল সাদ্দাম হাফতারকে তার দেশে নামিয়ে একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে পারে যে হাফতার ২৪ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি কিভাবে দীর্ঘ মেয়াদে ইজরাইলের সাথে সম্পর্ক করতে কাজ করবেন।
হারচাউয়ি ব্যাখ্যা করেছেন, তেল আভিভের জন্য ‘ আরব ক্ষমতার কেন্দ্রগুলি একে একে ইজরায়েলকে আলিঙ্গন করার সিদ্ধান্ত নেয়া একটি ঝুকিপূর্ণ বিষয়। ‘ইজরায়েল যদি সত্যিই আরও গ্রহণযোগ্যতার দিকে ক্রমাগত গতির সেই আখ্যানবজায় রাখতে পারে, তবে তা হবে দেশটির জন্য বড় ধরণের বিজয়।’
আরব অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর প্রভাব
গত বছর ইজরায়েলের সাথে সুদান এবং মরোক্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের পর লিবিয়া আব্রাহাম চুক্তিতে প্রবেশ করলে আফ্রিকায় আমিরাতের সক্রিয়তার দিক থেকে সাফল্যের ইঙ্গিত পাওয়া যাবে যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রচেস্টার কারনেই সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও তিউনিশিয়ার ২৫ জুলাই ২০২১ এর ঘটনাও আবু ধাবির জন্য আরেকটি জয় নিশ্চিত করেছে। তেল আভিভের সাথে সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার জন্য হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পষ্টতই ইজরায়েলের স্বার্থ পূরণ করবে। কিন্তু মাগরেবের সব রাষ্ট্র আব্রাহাম চুক্তিতে লিবিয়ার প্রবেশকে সুনজরে দেখবে না।
আলজিয়ার্সের দৃষ্টিকোণ থেকে, উত্তর আফ্রিকায় আমিরাতের প্রভাব সম্প্রসারণ এবং ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রবণতা উভয়ই আলজেরিয়ার জাতীয় স্বার্থকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আলজিয়ার্সের সরকারী নেতৃত্বের মধ্যে একটি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকায় আমিরাতের সক্রিয়তা, বিশেষ করে আবু ধাবির মাগরেব এবং সাহেলের দেশগুলোকে আব্রাহাম চুক্তিতে আনার প্রচেষ্টা আলজেরিয়াকে দুর্বল এবং আরও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে ফেলে দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিম সাহারার উপর মরোক্কোর সার্বভৌমত্বের ওয়াশিংটনের স্বীকৃতির বিনিময়ে রাবাত ইজরায়েলের সাথে স্বাভাবিক হওয়ার পর আলজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে ‘আমাদের সীমান্তে সত্যিকারের জায়নবাদী হুমকি রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি হামদি দ্য নিউ আরবকে বলেন, ‘আলজেরিয়া হাফতার কর্তৃক ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টিকে তার স্থিতিশীলতার উপর জেনারেলের নকশা এবং তার পক্ষ থেকে গুরুতর হুমকি বৃদ্ধির প্রমাণ হিসেবে দেখবে,’ । প্রকৃতপক্ষে, একটি উদ্বেগ রয়েছে যে, মরোক্কো এবং লিবিয়া উভয়ই ইজরায়েলের সাথে কূটনৈতিক চুক্তিতে আবদ্ধ থাকায় তেল আভিভের সাথে এই ধরনের সম্পর্ক আলজেরিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করা হতে পারে।