ইউরোবাংলা রিপোর্টঃ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবাদী’ আচরণ এবং ফিলিস্তিনিদের ‘ইতর বর্ণবাদী গোষ্ঠী’ হিসেবে বিবেচনা করার অভিযোগ এনেছে।

© রয়টার্স। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে যে ফিলিস্তিনিরা বর্ণবাদী ব্যবস্থার অধীনে বাস করছে।

একটি নতুন প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের উপর “নিপীড়ন ও আধিপত্যের একটি ব্যবস্থা” বজায় রেখেছে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েলের ‘বিচ্ছিন্নতা, উচ্ছেদ ও বর্জন’ নীতি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।

ইসরাইল রিপোর্টটিকে “মিথ্যা” বলে অভিহিত করে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায় এমন গোষ্ঠীর “মিথ্যা, অসঙ্গত এবং ভিত্তিহীন দাবী” পুনর্ব্যবহার করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।

ইসরাইলী পররাষ্ট্র দফতরেরর এক বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রতিবেদনটি ইহুদি জনগণের জাতি রাষ্ট্র হিসাবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে অস্বীকার করে,”।

“এর চরমপন্থী ভাষা এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের বিকৃতি ইসরায়েলকে দুষ্ট রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত এবং ইহুদি বিদ্বেষের আগুনে ইন্ধন ঢেলে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়ছে।”

তার প্রতিবেদনে, অ্যামনেস্টি “ফিলিস্তিনিদের জমি ও সম্পত্তির ব্যাপক দখল, বেআইনি হত্যা, জোরপূর্বক স্থানান্তর, চলচলে কঠোর বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনিদের জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব অস্বীকার”কে “আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বর্ণবৈষম্য” এর উপাদান হিসাবে উল্লেখ করেছে। রিপোর্টে সংস্থাটি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে উল্লেখ করে।

অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ইসরায়েলের অভিযোগকে “ভিত্তিহীন আক্রমন” এবং “ভিত্তিহীন মিথ্যা” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় এবং ইহুদি-বিদ্বেষকে নিন্দা করে এবং এর বিপরীতে ইসরাইলের অভিযোগগুলি “আমাদের অনুসন্ধান থেকে মনোযোগ সরানোর (এবং) তদন্ত এড়াতে একটি মরিয়া প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়”।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে