ইউরোবাংলা রিপোর্টঃ জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী দামের প্রভাব কমাতে বরিস জনসন কোটি কোটি পাউন্ড মূল্যের জ্বালানি বিলে ছাড় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন বলে গতকাল রাতে এক সরকারী ঘোষনায় জানানো হয়।
টোরি এমপিরা তাকে চাকরি রাখতে হলে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সমস্যাগুলি সমাধান করার কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী পরিবারের বিলগুলিতে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধির প্রভাবকে সীমিত করতে রাষ্ট্র-সমর্থিত ঋণের সবুজ সংকেত দেন।
‘রিবেট এবং ক্লোব্যাক’ স্কিম, যা মিঃ জনসন এবং চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক উভয়েই অনুমোদন করেছেন বলে জানা গেছে। এর অর্থ হবে প্রতিটি পরিবারের জন্য £.২০০ এর একটি ছাড় যা এনার্জি ফার্মগুলোর কাছে করদাতাদের ঋণ আন্ডাররাইট করতে দেবে।
পরিকল্পনার আওতায় এনার্জি কোম্পানীগুলোকে ৬ বিলিয়ন পাউন্ড ঋণ দেয়া হবে। পরে কোম্পানীগুলো এর জন্য প্রতিটি গৃহস্থালী পরিবারকের তাদের এনার্জি বিলে ছাড় দেবে।
এপ্রিল মাসে জ্বলানীর দাম বাড়লে এই পরিকল্পনাটি করদাতাদের জন্য আর্থিক চাপ কমিয়ে দেবে। কিন্তু জ্বলানীর দাম কমে গেলে গ্রাহকদের আগামী বছরগুলিতে কোম্পানিগুলিকে তাদের ঋণ ফেরত দিতে হবে।
মন্ত্রীরা ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সম্মত হয়েছেন এবং এটি বৃহস্পতিবারের প্রথম দিকে ঘোষণা করা হতে পারে।
সঅরকারী এক সূত্রে বলা হয়, এটি এনার্জি কোম্পানীগূলোর ব্যলান্স শীটকে সমৃদ্ধ করার প্রকল্প নয়। ‘প্রতিটি পয়সা তারা ঋণে পাবে এবং তা ছাড় আকারে ভোক্তাদের কাছে দেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী এবং চ্যান্সেলর দরিদ্র পরিবারের জন্য আর্থিক বোঝা কমানোর জন্য অন্যান্য পদ্ধতিগুলিও দেখছেন, যেমন ‘উষ্ণ বাড়ির ছাড় (Warm Home Rebate)’ বাড়ানো। কাউন্সিল ট্যাক্স রেয়াত এবং বেনেফিট বর্ধিত করার বিষয়ও বিবেচনাধীন আছে।
পরিকল্পনার সাথে কিছু ঝুঁকিও যুক্ত রয়েছে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে গ্যাসের দাম ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গ্রাহকদের জন্য শক্তির খরচ কমিয়ে আনার ধারণার বিপরীত।