প্লিমাউথঃ প্লিমাউথে একটি বাস স্টপে অপেক্ষা করার সময় ১৬ বছর বয়সী একটি মুসলিম কিশোরীর হিজাব টেনে খুলে ফেলা হয়েছে। পুলিশ এটিকে জাতিগত বিদ্বেষী হামলা বলে উল্লেখ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে প্লিমাঊথের বেড়ী বাঁধ রোডের ক্রিশ্চিয়ান সেন্টারের বাইরে। ছাত্রীটি স্কুলে পরীক্ষায় বসার জন্য বাসের অপেক্ষা করছিলেন।
এসময় তাঁর থেকে কয়েক কদম দূরে আক্রমনকারী ঐ মহিলা তাঁর মোবাইল ফোনে কারো সাথে বিতন্ডা করছিলো। তাঁর কল শেষ হলে সে মেয়েটির দিকে তেড়ে যায়। তাকে জিজ্ঞেস করে তাঁর কি সমস্যা। কোন প্ররোচনা ছাড়াই সে তাকে আঘাত করার চেষ্টা করে। তবে ব্যর্থ হয়। এরপরেই সে মুসলিম মেয়েটির মাথা থেকে হিজাব টেনে খুলে ফেলে।
একজন সহৃদয় মানুষ মেয়েটিকে বিচলিত এবং ভীত দেখে বাসে তাঁর সাথে বসে এবং তাকে সান্তনা দেয় এবং সে যাতে নিরাপদে স্কুলে পৌঁছেছে তা নিশ্চিত করার জন্য বাসে তার সাথে ছিল।
ডেভন ও কর্নওয়াল পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, এই হামলার কারণে ছাত্রীটি ‘অত্যন্ত বিচলিত’ হয়ে পড়েছিল। তারা এটিকে যা জাতিত বিদ্বেষী হামলা হিসবে বিবেচনা করছে। পরীক্ষার জন্য স্কুলে পৌছলেও মেয়েটি শেষ পর্যন্ত পরিক্ষা দিতে পারেননি।
“আমরা বিশ্বাস করি যে বাস স্টপে কমপক্ষে আরও একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন,” পুলসিশে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
‘স্কুলে যাওয়ার পথে এক তরুণী ছাত্রীর ওপর এটি ছিল বিনা প্ররোচনায় হামলা।
হামলার উদ্দেশ্য অজানা তবে জাতিগত বা ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত বলে বলে মনে করা হচ্ছে কারণ মেয়েটি হিজাব পরেছিল।
“কিছু মুসলিম মেয়ে এবং মহিলারা অচেনা পুরুষদের কাছ থেকে তাদের শালীনতা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য হিজাব পরেন। এই ধরনের একটি পাবলিক প্লেসে তার গোপনীয়তা লঙ্ঘিত করার বিষয়টি তাঁর জন্য বিশেষ মর্মপীড়ার কারণ হয়েছে।