লন্ডনঃ ব্রিটেনে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে প্লানিং এবং ফেয়ারে ভারতীয় ও পাকিস্তানিদের আধিপত্য চলছে কয়েক দশক ধরে। এর বিপরীতে বাংলাদেশিদের অবস্থান গড়তে গত ৫ বছর ধরে কাজ করছে, ‘বেঙ্গলী ওয়েডিং ফেয়ার‘।
এটি বিলেতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের একমাত্র আয়োজন। এই আয়োজনের মুল পরিকল্পনা, প্রচার ও প্রসারে কাজ করছেন চ্যানেল এসের প্রযোজক ও ওয়েডিং ফেয়ারের ম্যানেজিং ডাইরেক্টার আহাদ আহমদ ও সিইও সোহানা আহমদ । গত কয়েক বছর ধরে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বর্তমান সময়ের এই ওয়েডিং ফেয়ার নান্দনিক রূপ লাভ করেছে। এর সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশ ব্যাপী।
২০শে নভেম্বর ২০২২, রবিবার জমকালো আয়োজনে ইস্ট লন্ডনের দ্যা রয়েল রিজেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়, বিলেতে বাংলাদেশীদের একমাত্র আয়োজন।
দেশীয় সংস্কৃতি, কৃস্টি ও কালচারকে সামনে রেখে একই ছাদের নিচে ব্রিটিশ বাংলাদেশী ছেলে মেয়েদের বিয়ের আয়োজনের প্রাথমিক আইডিয়া গ্রহণের এবং সকল ব্যাবস্থা সুন্দর ভাবে এবং অতি সহজে করার উদ্যোগ নিয়েছে লন্ডন বেঙ্গলী ওয়েডিং ফেয়ার।
বেঙ্গলী ওয়েডিং ফেয়ারে তরুন প্রজন্মের ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অংশগ্রহন ছিলো চোখে পড়ার মতো। আগতরা মনে করেন নতুন প্রজন্ম এই ফেয়ার থেকে ভবিষ্যতে তাদের বিবাহ বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ভালো ভাবে জানার সুযোগ লাভ করেছে।
বেঙ্গলী ওয়েডিং ফেয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আহাদ আহমেদ জানান, যে সব নবদম্পত্তির বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা এই মেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে বিবাহের প্রস্তুতি সম্পন্ধে ধারণা লাভ করেছে।
তিনি এই ফেয়ার আয়োজনে যারা সর্বাত্বক ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বিশেষ করে স্পন্সরদের সহযোগিতার কথাটি উল্যেখ করে তিনি বলেন, অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া এই আয়োজন সম্পন্ন করা সম্ভব ছিলোনা। তিনি সবাইকে এই সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছন চ্যানেল এসসহ বেঙ্গলী প্রিন্টি, ইলক্ট্রেনিক এবং অনলাইন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, সহকর্মী এবং সমর্থকদের।
প্রতিবারের মতো ওয়েডিং ফেয়ারে অংশ গ্রহণ করা বিভিন্ন কোম্পানী গুলো নিয়ে আসেন বিশেষ ডিসকাউন্ট। এতে আগদের অনেকেই সেই ডিসকান্ট গ্রহণ করেছে।
এবারের ওয়েডিং ফেয়ারের উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, তিনি তার বক্তব্য বলেন, লন্ডন বেঙ্গলী ওয়েডিং ফেয়ারের চিন্তা এবং বাংলাদেশকে তুলে ধরার এটি অত্যন্ত চমৎকার উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্রিটেনে বেড়া উঠা নতুন প্রজন্ম তাদের তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সস্কৃতি সম্পর্কে ধরণা লাভ করতে পারবে।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে চ্যানেল এস এর ফাউন্ডার মাহী ফেরদৌস জলিল বলেন, ওয়েডিং এর একটি বিশাল মার্কেট রয়েছে এই বৃটেনে। এই জন্য সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করলে একদিকে মিলিয়ন পাউন্ডের ইন্ডাস্টি হবে এটি। অন্যদিকে বাংলাদেশীদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বহু লোকের কর্মসংস্হান হবে।
সাড়া জাগানো এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নতুন প্রজন্মের অনেক ব্যবসায়ীর। ওয়েডিং ফেয়ারে পোষাক, ডায়মনড, কার হায়ার, ফার্নিচার, মেহেদী, ডেকোরেটর, ডিজে, ক্যাটেরিং, মেকআপসহ বিয়ে আয়োজনের বিভিন্ন ধরনের স্টল গুলিতে ছিলো উপচেপড়া ভিঁড়।
সেলিব্রিটি উপস্থাপক নাদিয়া আলি ও স্মাশ বেংগলীর যৌথ পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফেয়ারের ডিরেক্টর আহাদ আহমদ এবং সোহানা আহমদ।
ফ্যাশন‘শোসহ ছিলো বাংলা সংস্কৃতির বহুমাত্রিক উপস্থাপনা। শোর এবারের বিশেষ আকর্ষন ছিল রোমেনা ওয়ান ও ওয়ান। এর মাঝে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় ইউটিউবার বিলাল শাহীদ, ইকসী,
। উপস্তাপন করা হয়ে বাংলাদেশী শাড়ী, গহনাসহ একটি পুর্নঙ্গ বিবাহের সব ধরণের আয়োজন।
সেই সাথে এবছর নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে ৭টি ক্যাটাগরিতে ওয়েডিং এওয়ার্ড।
এ বছর যারা মনোনিত হয়েছে,এবং এওয়ার্ড গ্রহণ করেন তারা হচ্ছে।
ওয়েডিং ক্যাটারিং প্রোভাইডার, উইনার: প্রাইড অব এশিয়া এবং এর কর্ণধার ওয়াজিদ হাসান সেলিম।
সাপোর্টিং দ্যা বাংলাদেশী ইন্ডাস্ট্রি, নাদিয়া আলী ওয়েডিং ট্রান্সপোর্ট সাপ্লাইয়ার অব দ্যা ইয়ার, ‘ইষ্ট লন্ডন লিমো‘, শাহাদ উল্লাহ
লাক্সারী ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি প্রোভাইডার, উইনার: তারিক মিয়া।
ওয়েডিং সাপ্লাইয়ার স্পেশালিস্ট ‘সেরানিটি ডেকো‘, তানিয়া বেগম। ফিমেল মডেল অফ দ্যা ইয়ার, আইরিন আরজু।
মেইল মডেল অফ দি ইয়ার, রমজান মিয়া।
বর্নাঢ্য এই আয়োজনে বিভিন্ন বিষয় এওয়ার্ড তুলেদেন আমন্ত্রিত অতিথি ক্যামডেনের মেয়র কাউন্সিলার নাসিম আলী এবং ওয়াদিং মেয়র ফেরদৌসী হেনা চৌধুরী, চ্যনেল এসের চ্যেয়ারম্যান আহমেদুস সামাদ চৌধুরী জে পি, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, দ্যা রয়েল রিজেন্সি হলের ডিরেক্টর আব্দুল বারী, বিবিসিসির সভাপতি সাইদুর রহমান রেনু, ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, বিবিসিএর সভাপতি সেলিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তুফাজ্জল মিয়া। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।