ইউরো বাংলা রিপোর্টঃ মালয়েশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ আনোয়ার ইব্রাহিম। দেশের বর্তমান রাজা তাকে শপথ পাঠ করান।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নিয়োগ তার রাজনৈতিক কর্মজীবনের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। ১৯৯০ সালে তিনি অপু প্রধানমন্ত্রীর পর থেকে বরখাস্ত হন। যদিও সে সময় তাকে মনে করা হতো মাহাথির মোহাম্মদের সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসাবে।
এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটলো। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য এটি একটি বড় ঘটনা।
আনোয়ার কে এখন একটি সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা গঠন করতে হবে। তার পাকাতান হারাপান জোট এবং একই সমর্থনকারী দলগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য ভারসাম্য তাকে আনতে হবে। সেই সাথে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আনা তার এখন প্রধান কাজ হবে।
১৫ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন পতাতান হারাপান পার্টি ৮২ টি আসন জিতেছে। তবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১১২ টি আসনের চেয়ে এই সংখ্যা অনেক কম। সে কারণে তাকে অন্যান্য জোটের সাথে কোয়ালশীল করে সরকার গঠন করতে হয়েছে।
শপথ অনুষ্ঠানের পর টুইটারে নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার ওপর এই আস্থা আমি বিনয় এবং দায়িত্বের সাথে বহন করব।”
“এই বোঝা আমি বহন করব একজন মালয়েশিয়ান এবং আমার দলের ইচ্ছা ও বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়ে।”
আনোয়ার কিংবা পেরিকাতান ন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান তান শ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিনের সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না। ফলে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দেশের রাজা বার বার রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করতে বাধ্য হন।
এর ফলে দেশের ১৩ টি রাজ্যের রাজাদের একটি বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, আনোয়ারকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তার স্ত্রী এবং সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী আজিজা ইসমাইল উপস্থিত ছিলেন।
আমানাহ সভাপতি এমপি মোঃ সাবু, ডিএপি মহাসচিব অ্যান্থনি লোক, সেই সাথে প্রাক্তন কুলিম বন্দর বাহারু এমপি এবং পিকেআর সেক্রেটারি জেনারেল সাইফুদ্দিন ইসমাইলসহ পাকাতান হারাকানের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাও উপস্থিত ছিলেন।