নাজমুল ইসলাম মকবুল, সিলেট
মানস আয়োজিত মাদক বিরোধী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এম.পি বলেছেন, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে প্রতিটি ঘরে ঘরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যত দিন যাচ্ছে দেশের প্রতিটি পরিবারে মাদক ঢুকে যাচ্ছে। তাই সবাইকে পারিবারিকভাবে সচেতন হতে হবে। নিজের ছেলেমেয়েরা কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে চলাফেরা করছে সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
রোববার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুন বাজার রামপাশা রোডে প্রবাসী চত্ত্বরের নিকটে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাবাহীনিও জিরো টলারেন্সে আছে। মাদকমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা গড়তে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠা থাকতে হবে।
মানস’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অরুপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান, সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার বিন সালেহ, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও সাহিত্যিক মুহিবুর রহমান কিরণ।
সভাপতির বক্তব্যে মানস’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, বিশ্বনাথে আমার জন্ম এবং এখানে আমি আসছি আজকে দু-একটি কথা বলতে। মাদক এখন সারা বিশ্বের একটি সমস্যা। আমি সে বিষয়টি নিয়ে বিগত চল্লিশ বছর যাবত আন্দোলন করে যাচ্ছি। মাদক সেবনে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ধ্বংস হয়। এর বিরুদ্ধে আপনারা সকলেই স্বোচ্ছার হবেন। কারন আমরা বিশ্বনাথকে ভালোবাসি। দেশকে ভালোবাসি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, বিশ্বনাথ থেকে সকল মাদকের আস্তানা নির্মুল করতে হবে। এজন্য সকল মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বিশ্বনাথের উন্নয়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করে বলেন, বিশ্বনাথের উন্নয়নের লক্ষ্যে আবারও আপনাকে এখানে নিয়ে আসা হবে, সেসময় হাজার হাজার জনতার সমাগম হবে।
আয়েশা করিম মুন্নি ও হিমাংশু রায় হিমেলের পরিচালনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ ও সম্মাণনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট কল্যাণ চৌধুরী। বিশ্বনাথের বিভিন্ন দাবি জানিয়ে মানপত্র পাঠ করেন সমর কান্তি দে।