গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ারের সালিসকারী জিএসসি’র প্যাট্রনদের সুপারিশ ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও ত্রুটিপূর্ণ ভোটিং ডেলিগেট মেম্বারশিপসহ নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবি এবং আর্থিক অনিয়ম, সংবিধান লঙ্ঘন ও জিএসসি’র কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারী) পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে প্রেস কনফারেন্স হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বর্তমান নির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ড. মুজিবর রহমান। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যেবক্তব্য রাখেন জিএসসি সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মাহবুব, সভাপতি প্রার্থী মসুদ আহমেদ, ট্রেজারার পদপ্রার্থী হেলেন ইসলাম,
এনইসি পদপ্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাজুল ইসলাম, জামাল হোসেন, শিপার রেজাউল করিম,
কদর উদ্দিন, আব্দুর রহিম রন্জু, আব্দুল বাসিত রফি,
শেখ নুরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মুজিবর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের (জিএসসি’র) সালিসকারী ও প্যাট্রন হাসানাত মোহাম্মদ হোসাইন এমবিই এবং কে এম আবু তাহের চৌধুরীর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সুপারিশ ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও ত্রুটিপূর্ণ ভোটিং ডেলিগেট, মেম্বারশিপসহ নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবি এবং আর্থিক অনিয়ম, সংবিধান লঙ্ঘন ও জিএসসি’র বর্তমান দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে আজকের সংবাদ সম্মেলন। আপনারা জানেন প্রবাসীদের মধ্যে একতা ও ন্যায্য দাবি-দাওয়া এবং একে অন্যের প্রতি ভাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে তিন দশক পূর্বে জিএসসি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ্যের সাথে জানাতে হচ্ছে যে, বিগত প্রায় এক দশক ধরে কয়েকজন ব্যক্তিবিশেষ তাদের নিজস্ব কায়েমী স্বার্থ আর একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া। ছলচাতুরির মাধ্যমে সংগঠনে তাদের বিরোধী মতের লোকদের কোনঠাসা করে রাখার পাশাপাশি সংবিধান কাঁটাছেড়া করে অসামঞ্জস্যপূর্ণ [অনুচ্ছেদঃ ৬(১২)] কিছু বিধান সন্নিবেশিত করেছেন। এর পরেও সংবিধানে যেটুকু সার্বজনীন নিয়ম-নীতি ও বিধিবিধান রয়েছে তারও কোনো তোয়াক্ষা করছেন না।
তিনি আরো বলেন, জিএসসির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫(২) অনুসারে কার্যকরী কমিটির মেয়াদ দুই বছর হলেও বর্তমান কমিটি পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদঃ ৯(১) অনুসারে বাৎসরিক সাধারণ সভার মেয়াদ কার্যকরী কমিটি সর্বোচ্চ তিনমাস সময় বর্ধিত করতে পারে। বর্তমান কমিটির দায়িত্বশীলরা গত প্রায় তিন বছরের মধ্যে কোনো সাধারণ সভা করেন নাই। উল্লেখ্য গত সাধারণ সভা হয়েছিল ১৪ এপ্রিল ২০১৯। কেন্দ্রীয় কমিটির এনইসি গঠনের ক্ষেত্রে আপোষ মীমাংসায় ন্যায্যতা ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ভোটিং ডেলিগেটের তালিকা করা সম্ভব না হলে, সংবিধানের অনুচ্ছেদঃ ৮(২) অনুসারে রিজিওনের সাধারণ সদস্য কর্তৃক নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটিং ডেলিগেট নির্ধারণের বিধান রয়েছে। অথচ বর্তমান দায়িত্বশীলরা মেম্বারশিপ অনুমোদনে অনিয়মের মাধ্যমে তাদের পছন্দের লোকদের বিভিন্ন রিজিওনে দায়িত্বে বসিয়ে পক্ষপাতমূলক ও একতরফা ভোটিং ডেলিগেট করিয়ে আবারো নিজেদের পদ-পদবী ধরে রাখতে হেন কোনো কাজ নাই যা তারা করছেন না। নিজেদের মতের বাইরের সদস্যদের অন্যায়ভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া আর নিজেদের পক্ষের লোকদের অস্বচ্ছতার মাধ্যমে ভোটাধিকার দেয়াসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে সংগঠনে তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে চাইছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালে মেম্বারসিপ ফর্ম ফিসসহ জমা দিয়ে আমরা সবাই ২ বছরের জন্য GSC এর মেম্বার হই। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে সবার মেম্বারশীপের মেয়াদ শেষ হয়। অতএব আমরা কেউই বৈধ ভোটার নই। সাধারন মেম্বারদের এই অবস্থার জন্য দায়ী জিএসসি সেন্ট্রালের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ । জিএসসি সেন্ট্রাল এনইসি’র মেয়াদ ছিল দুবছর । কোনপ্রকার AGM বা SGM ছাড়া পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ায়, তারাও এখন অবৈধ ।
তাই অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে একমাত্র প্যাট্রনদের সাংগঠনিক বৈধতা আছে GSCকে পুনরুদ্ধার করে মেম্বারদের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭(১) অনুসারে এপপ্রোপ্রিয়েট নমিনেশন ফরমের সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও এনইসি’র নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারপারসন, জেনারেল সেক্রেটারি ও ট্রেজারারের নাম ও কন্টাক্ট নাম্বার দিয়ে ফরম পোস্ট করা হয়েছে। টিভি সাক্ষাৎকারে পর্যন্ত ভুল স্বীকার করলেও ফরম সংশোধনের কোনো উদ্যোগ আজ অবধি নেয়া হয় নাই। সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনজন সদস্যদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার বিধান থাকলেও ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে জেনারেল সেক্রেটারি কর্তৃক প্রেরিত চিঠিতে চারজন সদস্যদের নাম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে জানানো হয়। আবার তাদের কোনো কন্টাক্ট নাম্বার দেয়া হয়নি। এযেন এক ‘তুঘলকি কাণ্ড । উনাদের মন যা চায়, তা-ই তারা করে যাচ্ছেন।
আপনারা হয়তো জেনেছেন ইতিমধ্যে দুই জন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। যদিও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তা এখনো অফিসিয়ালি জানেন না। ঘোষিত নির্বাচনে ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ছিল নমিনেশন জমা দেয়ার শেষ তারিখ আর ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, বিকেল ৫ ঘটিকা ছিল নমিনেশন প্রত্যাহারের শেষ সময়। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর বেলা ১টার দিকে দিকে জেনারেল সেক্রেটারি যিনি আবার নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীও বটে। তিনি একটি টেক্সট মেসেজ দিয়ে ‘অনিবার্য কারণ’ দেখিয়ে নমিনেশন প্রত্যাহার ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোস্টপন্ড (স্থগিত) করে দেন । নমিনেশন প্রত্যাহার ‘স্থগিত’ বলে কি বুঝালেন তা আজো পরিষ্কার নয়। এর পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব কিছুটা অসন্তুষ্টির স্বরে বেলা আড়াইটার দিকে সেক্রেটারিকে একটি টেক্সট মেসেজ দিয়ে জানান যে, এই পোস্ট পোনমেন্ট আপনি নিজে করেছেন। তাই সকল প্রার্থীদেরকে মেসেজ যেন তিনিই কনভে করেন । এর পরেও সকল প্রার্থীদেরকে সেক্রেটারি কিছু জানান নাই। এরই মধ্যে ২০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব সেক্রেটারিকে একটি মেসেজ লিখে পদত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সেক্রেটারি ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে তার ‘অনিবার্য কারণ’ এর একটি ব্যাখ্যা দেন। তাতে তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল প্রার্থীর ফি ব্যাংকে দেখা যায় নাই। তাই ‘ডেমোক্রেটিক ভ্যালু আপহোল্ড’ করার স্বার্থে নমিনেশন ফি জমা হওয়ার জন্য ‘৭ দিন গ্রেস পিরিয়ড’ বরাদ্দ করেন। ‘ এখানেই শেষ নয়, এর পরে আবারো নমিনেশন প্রত্যাহারের সময় বর্ধিত করে ২ জানুয়ারি ২০২৩ করা হয়। এরই মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ২ জানুয়ারিতে অফিসে বসেন। আমরা কয়েকজন প্রার্থী যখন তাঁকে প্রশ্ন করলাম, সকল প্রার্থীর ফি জমা হয়েছে কিনা? উনি বললেন লিখিত ছাড়া কোনো প্রশ্নের উত্তর দিবেন না। উনি মিডিয়ার সামনে বললেন নমিনেশন যেহেতু এককভাবে জমা হয়েছে তাই নির্বাচন হবে এককভাবে প্যানেল ছাড়া। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে তিনি ভোল পাল্টালেন। এখন প্যানেলভিত্তিক মার্কা দিয়ে নির্বাচনের তোড়জোড় করছেন। প্রয়োজনে একটি প্যানেলকে মার্কা দিয়ে হলেও আজগুবি মার্কা নির্বাচনের দিকে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। হয়তো একটি চিহ্নিত প্যানেলের সবাইকে বিজয়ী ঘোষণাটা বাকি ! যেকোনো সময় সেই ঘোষণাও চলে আসলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।
একটি স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যেসব উপাদানের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে কমিউনিটির দু’জন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছেন এখন তার থেকে আরো বেশি বিষয়াদি বিশেষ করে মেম্বারশিপ ফি নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি আরো পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে । তাই সালিসকারী দুইজন প্যাট্রনদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পাওয়ার পরেও যারা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, আমাদের মনে হচ্ছে হয় তারা এখনো সব বিষয়ে জানতে আগ্রহী নয়, আর না হয় তাদের দু’একজন একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে উনাদের পছন্দের বন্ধু বা সাবেক ব্যবসায়িক পার্টনারের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাচ্ছেন । আমরা জিএসসি ও কমিউনিটির স্বার্থে আপনাদের মাধ্যমে উনাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনার জন্য আবারো অনুরোধ করবো।
উনারা একই কমিউনিটিতে বসবাস করে সবকিছু জানার পরেও কোর্ট থেকে কিছু পাওয়ার আগ পর্যন্ত শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবেন তা আমরা আশা করি না । আর যদি কোর্ট থেকে আদেশ এনে উনাদেরকে স্টপ করাতে হয় তাহলে উনাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে জাজমেন্ট করার ক্ষমতা ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিবে এটা আমাদের কাছে কাম্য নয়।
এর পূর্বে সাউথ ইস্ট রিজিওনের মেবেরশিপ ফি-সহ আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে ইসি কমিটির সদস্য হারুনার রশিদ কয়েকটি চিঠি লিখলেও তার কোনো সদুত্তর দেয়া হয় নাই। তখন সাউথ ইস্ট রিজিওনের ট্রেজারার সুফী সোহেল আহমদ জানান যে, সাউথ ইস্ট রিজিওনের সকল মেম্বারশিপ ফি সেন্ট্রাল একাউন্টে জমা রাখা হয়েছে। সেন্ট্রাল কমিটির দায়িত্বশীলরা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিলে পরে তিনি তা দেখিয়ে দিবেন।
তিনি আরো বলেন, জিএসসি’র মেম্বারশিপ অনুমোদন ও ডেলিগেট নির্বাচনে অনিয়ম এবং মেম্বারশিপ ফি-সহ সংগঠনের আর্থিক অনিয়ম ও দায়িত্বশীলদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে গত ৮ ডিসেম্বর পোর্টসমাউথ শাখার সভাপতি আগামী নির্বাচনে চেয়ারপারসন পদপ্রার্থী জনাব মাসুদ আহমদ এক সংবাদ সম্মেলন করেন । বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা দুইজন এনইসি সদস্য চ্যারিটি ট্রাস্টি হিসেবে সেন্ট্রাল কমিটির সেক্রেটারিকে সেন্ট্রাল ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট দেয়ার অনুরোধ করি এবং কতজন মেম্বারের মেম্বারশিপ ফি সময়মতো জমা হয়েছে তা জানতে ২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে একটি চিঠি লিখি। সেন্ট্রাল সেক্রেটারী ৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে জানান যে, সেন্ট্রাল ব্যাংক একাউন্টে শুধুমাত্র সেন্ট্রালের পরশন (প্রতি মেম্বারের জন্য ৪ পাউন্ড করে জমা হয়েছে) ।
এছাড়া এনইসি আমাদের অভিযোগ খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছে বিধায় মেম্বারশিপ ফি-সহ অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি করেছে যা এনইসি নির্বাচনের এক মাস পরে অর্থ্যাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে।
নির্বাচনের পরে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি এবং সাউথ ইস্ট রিজিওনের ট্রেজারারের বক্তব্য এবং সেন্ট্রাল সেক্রেটারীর বক্তব্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়াতে মেম্বারশিপ ফি’র ব্রেক ডাউন দিয়ে তার মন্তব্য জানতে চাই। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, তদন্ত কমিটি বিষয়টি দেখবে। আর সেন্ট্রাল ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখতে হলে আমি সেন্ট্রাল চারের সাথে এপয়েন্টমেন্ট করে যেতে পারি। কিন্তু সেন্ট্রাল চেয়ার প্রথমে বলেন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর জন্য রিকোয়েস্ট করা হয়েছে। তাই পেতে সময় লাগবে। সেন্ট্রাল চেয়ারকে যখন স্মরণ করিয়ে দেই যে, আমরা ২০১৯/২০ সালের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখতে চাচ্ছি, তখন বলেন এগুলো ফাইল করা হয়ে গিয়েছে। খোঁজতে সময় লাগবে। এর পরের মিডিয়ার মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করলে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২২ সালের এনইসি’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে চিঠি দিয়ে সেন্ট্রাল সেক্রেটারি আমাদের দুইজন সম্মানিত প্যাট্রনদের সালিশির দায়িত্ব দেন অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার জন্য।
প্যাট্রন মহোদয়রা যারা আবার জিএসসি’র সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(৩) অনুযায়ী আরবিট্রেটর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, গত ৬ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে পেট্রনদের কাছে সদস্যদের লিখিত অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা ও সমস্যা সমাধানের লক্ষে পরামর্শ এবং সালিশ হিসাবে নির্দেশনা পেশ করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ্যের ব্যাপার হলো সেন্ট্রাল কমিটির দায়িত্বশীলরা তাতে কর্ণপাত করছেন না।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন জিএসসির দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম এবং তাদের সহযোগিতা না পেয়ে মিডিয়া বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়ায় আজকে অন্তত প্যাট্রনদের পক্ষ থেকে একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। কিন্তু কমিউনিটির সামনে জিএসসির ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখন যদি দায়িত্বশীলদের একগুঁয়েমির কারণে কোর্ট এবং চ্যারিটি কমিশনের মাধ্যমে হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করে উনাদেরকে এবং নির্বাচন কমিশনকে থামাতে হয় তাহলে মেইনস্ট্রিমে গোটা কমিউনিটি সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা জন্ম নিবে। এর দায় জিএসসির দায়িত্বশীলদের নিতে হবে।
নিরুপায় হয়ে আমাদের পক্ষ থেকে লিগ্যাল প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়েছে এবং সংগঠনের দ্বায়িত্বশীল এবং নির্বাচন কমিশনকে প্যাট্রনদের সুপারিশ ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা (ভোটিং ডেলিগেট) তৈরী করে নির্বাচন করার আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা (ভোটিং ডেলিগেট) ব্যাতিত নির্বাচন সম্পন্ন করা হলে আর পরবর্তীতে সংগঠনের ভাবমূর্তিসহ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে এর দায় জিএসসির দায়িত্বশীলরা নিবেন। নির্বাচন কমিশনকেও আপানদের মাধ্যমে অনুরোধ জানাবো এ ধরণের অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার সাথে উনারা যেন নিজেদের না জড়ান। উনাদের দিকেও গোটা কমিউনিটি ও মিডিয়া থাকিয়ে আছে।