Site icon ইউরোবাংলা

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি উসমানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন ——

গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘঠিকার সময় লন্ডনের উডেনহাম সেন্টারে বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ইউকের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরী সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খান জামাল নুরুল ইসলাম মাওলানা সৈয়দ মাসুম আলীর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহবাব হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিউহাম কাউন্সিলর কাউন্সিলর ওসমান গনি, ক্যামরিয়া কাউন্সিলর ডেপুটি স্পিকার আব্দুল হারীদ,কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল মুকিত, নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হাই, জি এস সি নেতা ফয়জুল করিম চৌধুরী, আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া, উক্ত সংগঠনের ট্রেজারার জুয়েল চৌধুরী, বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান বাবুল, সহ-সভাপতি শিহাবুজ্জামান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াওর উদ্দিন, সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মীর আব্দুর রহমান প্রমুখ ।

গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক জেনারেল আতাউল গণি উসমানীর আজ ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এই মহান নেতার প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
আমাদের অবস্থা আজ এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, যার কারণে, যাদের কাছে আমরা বৃহৎভাবে ঋণী তাদেরকেও আমরা স্বরণে আনি না। তাদেরকে কৃতজ্ঞতা আদায় তো অনেক দূরের কথা। যাদের মাধ্যমে দেশের সৃষ্টি। যারা দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা যেন আজ নিন্দিত। আমাদের বাঙালি জাতির ন্যায় অকৃতজ্ঞ জাতি বিশ্বের দরবারে বিরল। এই জাতির হেদায়াত কামনা করি।
বক্তারা বলেন –
মুহম্মদ আতাউল গনি ওসমানী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। সিলেটের রত্ন, গণতন্ত্রের আপোষহীন সৈনিক, আজীবন গণতন্ত্রী, সংকল্পে অটল, নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক, পরমত সহিষ্ণু, সততা, কর্মনিষ্ঠা ও সময়ানুবর্তিতার আদর্শ পুরুষ আতাউল গণি ওসমানী কখনও কোন ধরণের লোভ লালসার স্বীকার হননি। তাকে স্পর্শ করতে পারেনি কোন অসাধু পন্থা। দেশে গণতন্ত্রের
বিকাশই ছিল তার আজীবন এক সাধনা। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এবং জাতির সংকটময় মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হয়ে দেশকে আশু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। জাতির সংকটময় মুহূর্তে তার মতো জাতীয় নেতা শুধু সিলেটেই নয় সারা বাংলাদেশে বড় বেশি প্রয়োজন। তিনিই প্রথম ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এর প্রতিষ্ঠাতা। যার সুনিপুণ রণকৌশল ও ধীরে চলো নীতি এদেশকে রক্ষা করেছিল এক মহাবিপর্যয়ের কবল থেকে। জেনারেল এম এ জি ওসমানি এক বীর সেনানীর নাম । যিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী তার জীবন দেশ ও জাতির জন্য উৎসর্গ করে অমর হয়ে রয়েছেন। বক্তারা আতাউল গণি ওসমানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করার জন্য এবং একটি ডিফেন্স কলেজ সিলেটে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দাবি জানান।

সর্বশেষ কথা, আমরা যদি ওসমানিকে যথাযথ সম্মান জানাতে চাই, শ্রদ্ধা করতে চাই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে আমাদের লড়তে হবে। যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তিনি আজীবন করেছিলেন, সেই সংগ্রামই হবে তাঁর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা। অনুষ্ঠানের সভাপতি কে আবু তাহেরের কোরআন তেলাওয়াত ও মাওলানা সৈয়দ মাসুম আলীর মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করা হয় ।

Exit mobile version