ইঊরোবাংলাঃ জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে যুক্ত্রাজ্যের ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করবে পূর্ব লন্ডনের ইস্ট লন্ডন মসজিদ। প্রতি রামাদানে মসজিদটি টাওয়ার হ্যামলেটস এর বাসিন্দাদের ইফতারর সময় খাবার পরিবেশন করে আসছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। কিন্ত এবারে জীবনযাত্রার সংকট আরও গভীর হবার কারণে সারাদেশে এই কর্মসূচী প্রসার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মসজিদটি।

সুপারমার্কেটের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের  ক্রমবর্ধমান দাম, বেকারত্ব এবং আকাশছোঁয়া জ্বালানি বিলের কারণে এখন আরও বেশি মানুষ খাদ্য দারিদ্র্যের সম্মুখীন হচ্ছে,।   মসজিদের মুসল্লিরা ইউরো ফুডসের সাথে অংশীদারিত্বে দাতব্য সংস্থা মুসলিম এইডের মাধ্যমে পুরো দেশে তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

টাওয়ার হ্যামলেটসে যুক্তরাজ্যের মধ্যে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে খারাপ। বারার ৫৬% শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে এবং পরিবারগুলি রামাদান মাসে প্রতি ১০ দিনে তাদের ইফতার এবং সুহুর কেনার জন্য হিমশীম খান।

কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) মসজিদে প্রথম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে সবার জন্য খাদ্য অভিযান ব্যাপকভাবে জোরদার করা হচ্ছে।

ইস্ট লন্ডন মসজিদের মরিয়ম সেন্টার এবং  হেড অব প্রোগ্রামস সুফিয়া আলম বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংকট মোকাবেলায় সংগ্রামরত পরিবারগুলোর কাছে রমজানের খাবারের প্যাক পৌঁছে দিতে মুসলিম এইডের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে ইস্ট লন্ডন মসজিদ আনন্দিত।

প্যাকেজগুলি মুসলিম এইড ফিড দ্য ফাস্টিং প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে নেয়া হচ্ছে। দাতব্য সংস্থাটি রামাদান মাসে বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যপীড়িত মুসলমানদের সহায়তা করে এবং গত বছর বিশ্বের ১২টি দেশে ২.২ মিলিয়নেরও বেশি খাবারে প্যাকেট সরবরাহ করেছে।

মুসলিম এইডের  ফান্ডরেইজিং অ্যান্ড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন এর প্রধান আবুল কালাম বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট এবং খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যুক্তরাজ্যে অনেক পরিবার খাবারের জন্য হিমশিম খাচ্ছে। খাদ্য দারিদ্র্য আমাদের দেশে একটি সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ, এবং আমাদের এর জন্য সম্পর্কে কিছু করা দরকার।

“এটি আমাদের যুক্তরাজ্যের খাদ্য বিতরণের সূচনা ইভেন্ট এবং আমরা এই প্রকল্পটি যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে প্রসারিত করতে চাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে