জাতিগত সংখ্যালঘু পটভূমি থেকে স্কটল্যান্ডের প্রথম শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার নির্বাচনএকটি “গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত” । একটি বৈচিত্র্যময় সমাজে ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি একটি পদক্ষেপ হিসাবে প্রশংসিত হয়েছে সমাজের সকল ক্ষেত্রে।

হামজা সংখালঘুদের মধ্য থেকে নির্বাচিত প্রথম মুখ্য মন্ত্রী। তিনি দেশের নেতৃস্থানীয় প্রথম মুসলিম এবং সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী।

স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের জন্য ৩৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিকের নির্বাচনকে ‘স্মরণীয় মুহুর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন বলেছে, তারা আশা করে যে তিনি “বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মহান ঐক্যের উৎস” হতে পারেন।

মুসলিম পটভূমি থেকে আসা ব্রিটিশ জাতির প্রথম নেতা হামজা ইউসুফের নির্বাচন শুধু স্কটল্যান্ডের জন্যই নয়, যুক্তরাজ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন

সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল জারা মোহাম্মদ বলেন, ‘হামজা ইউসুফের নির্বাচন শুধু স্কটল্যান্ডের জন্যই নয়, যুক্তরাজ্যের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ।

“আমরা আশা করি যে নতুন ফার্স্ট মিনিস্টার এই সময়ে সম্প্রদায়েরসমূহের মুখোমুখি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মহান ঐক্যের উৎস হবেন।

সাধারণ মানুষের কল্যাণে আমরা মুখ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি ।

মুসলিম বিদ্বেষ মোকাবেলায় কাজ করা ‘টেল মামা’ গ্রুপ এক টুইটবার্তায় বলেছে, ‘যুক্তরাজ্য ও স্কটল্যান্ডে আমাদের বহুসাংস্কৃতিক ও বৈচিত্র্যময় সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনীতিবিদদের নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় দেখে দারুণ লাগছে। এসএনপির নির্বাচিত নেতার @HumzaYousaf কে অভিনন্দন”।

রাজনৈতিক বিরোধীরাও ইউসুফের নির্বাচনের তাৎপর্য স্বীকার করেছেন।

হলিরুডের স্কটিশ লেবার পার্টির নেতা আনাস সারওয়ার বলেন, “আমি তার ম্যান্ডেট এবং এসএনপির রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। তবে জাতিগত সংখ্যালঘু পটভূমি থেকে প্রথ, ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হবার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার রাজনীতি যাই হোক না কেন, এটি স্কটল্যান্ডের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত।

লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘জাতিগত সংখ্যালঘু পটভূমি থেকে আসা প্রঠম মুখ্যমন্ত্রী স্কটল্যান্ডের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত।

আইনজীবী ও অ্যাক্টিভিস্ট ড. শোলা মোস-শোগবামিমু উল্লেখ করেন যে, তিনজন ব্রিটিশ এশীয় ব্যক্তি এখন যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে বিশিষ্ট পদে রয়েছেন।

টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘হামজা ইউসুফ- প্রথম ব্রিটিশ এশীয় স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার। ঋষি সুনাক – প্রথম ব্রিটিশ এশীয় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। সাদিক খান – প্রথম ব্রিটিশ এশিয়ান লন্ডন মেয়র।

রাজধানীর প্রথম মুসলিম মেয়র  খান বলেন, ইউসুফের নির্বাচনের তাৎপর্যকে ‘অবজ্ঞা করা যায় না’।

টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন এসএনপি নেতা নির্বাচিত হওয়ায় @HumzaYousaf অভিনন্দন। স্কটল্যান্ডের প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু ফার্স্ট মিনিস্টার হিসাবে, এই মুহুর্তের তাৎপর্যকে অবজ্ঞা করা যায় না। স্কটল্যান্ড এবং লন্ডনের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে এবং আমি আপনার সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে