ভারতে রাম নবমী পালনকালে দেশজুড়ে মুসলমানদের ওপর হামলার ফলে অন্তত একজন ব্যক্তি নিহত এবং আহত হয়েছেন অনেকে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং রাজধানী দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাতেও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
মুসলমানরা রমজান পালন করা কালে শহরের কিছু সংবেদনশীল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশে হিন্দু গোষ্ঠীগুলির মিছিল বের করে।
মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় গেরুয়াধারী ক্ষ্মতাসীন বিজেপি সমর্থকরা ইচ্ছে করেই মুসলমানদের এলাকায় মিছিল করে। এসময় তাদের হাতে অনেক ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র, বন্দুক অ পিস্তল ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজনৈতিক ফায়দার জন্য রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টার জন্য ডানপন্থী ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) দায়ী করেছেন।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের মালভানি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৩০০ জনেরও বেশি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ঔরঙ্গাবাদের কিরদপুরা এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে শেখ মুনিরুদ্দিন (৫১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। একটি মন্দিরের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
নাগপুর জেলার ওয়াদি শহর থেকে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দরগাহ হাজি আবদুলরেহাম মালাং শাহ প্রাঙ্গণে এক ব্যক্তি গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করছেন। তারা ‘জয় শ্রীরাম’ (ভগবান রামের গৌরব) স্লোগান দিচ্ছে।
গুজরাটের ভাদোদরা শহরে মিছিলে অংশ নেওয়া হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্যরা মসজিদ ও মুসলিমদের বাড়িতে পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বছর এপ্রিলে রামনবমীর সময় একই ধরনের সংঘর্ষ হয়েছিল এবং একই মাসে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রার সময় দাঙ্গা হয়েছিল। এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের দোকান এবং ভবন গুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল মুসলমান ।