Site icon ইউরোবাংলা

জার্মান চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে এবি পার্টির বৈঠক

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান চার্জ ডি’ অ্যাফেয়ার্স (এআই) ইয়ান-রল্ফ ইয়ানোভস্কি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও বৈঠক করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’র একটি প্রতিনিধিদল। আজ রোববার বিকেল ৩টায় এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

রাজধানীর গুলশানস্থ জার্মান দূতাবাসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এবি পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও সহকারী সদস্য সচিব এবং উইমেন উইং ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি। আলোচনাকালে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাথে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের রাজনৈতিক, প্রেস ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক অ্যাটাশে জিলকে শ্মীর।

এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ তাদের দল গঠনের প্রেক্ষাপট, দলের নীতি-কর্মসূচি ও দলটি গত চার বছরে যে প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিয়ে অগ্রসর হয়েছে তা তুলে ধরে কথোপকথন শুরু করেন। এবি পার্টিকে ‘দ্বিতীয় প্রজন্মের’ রাজনৈতিক দল হিসেবে অভিহিত করে দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, দীর্ঘকাল ধরে জনগণ বিশেষ করে যুবকরা, পুরোনো ধারার অগণতান্ত্রিক-রাজবংশীয় রাজনীতি দেখে হতাশ ও ক্লান্ত। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার কারণে তরুণ ও যুবকরা পরিবর্তনশীল বিশ্ব ও মানসিকতার সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে চায়। জার্মান দেশে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে করণীয় বিষয়ে নেতৃবৃন্দের মূল্যায়ন জানতে চান।

এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ২০১১ সালে একতরফা পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তা অন্যায্যভাবে বাতিল করে বর্তমান সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত যে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে ৭টি নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে মাত্র ৪টি নির্বাচন ছিল তুলনামূলকভাবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য। এই ৪টি নির্বাচনে প্রতিবারই ক্ষমতাসীনরা পুনরায় নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হয়েছিল।

Exit mobile version