তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেবএরদোগান বলেছেন, প্রয়োজনে তুরস্ক ইইউ’র প্রার্থীতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারে।
জাতিসংঘসাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ক থেকে দুরে শরে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করে এরদোগান আরও বলেন, “আমরা এই অগ্রগতিসম্পর্কে আমাদের নিজস্ব মূল্যায়ন করব এবং যদি প্রয়োজন হয় তবে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে আমাদের সম্পর্ক পূণর্বিবেচনা করবো।
২০০৫ সাল থেকে তুরস্ক-ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান ের আলোচনা চলছে, কিন্তু আইনের শাসনের অবনতি এবং তুরস্কে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্রাসেলসের উদ্বেগের কারণে এটি কার্যকরভাবে স্থগিত রয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনের প্রতি ইংগিত করেন এরদোগান।, ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছ, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করা যাবে না।’
তুর্কি সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করলে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ‘বাস্তবসম্মত কাঠামো’ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
মে মাসে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর এরদোগান ইইউতে যোগ দেওয়ার জন্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ব্লকটি আঙ্কারার শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার হিসাবে রয়ে গেছে।
তুর্কি নেতা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের অঙ্গীকার করেছেন, কারণ তার দেশ জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট এবং গভীর রাজনৈতিক বিভাজনের সাথে লড়াই করছে।