জেরেমি হান্টের উচিত ডেনিশ বেনিফিট সিস্টেমটি অনুলিপি করা যাতে লোকেরা আরও ঘন ঘন চাকরি পরিবর্তন করতে উত্সাহিত হয়।

রেজোলিউশন ফাউন্ডেশন চ্যান্সেলরের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের কে তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ঝুঁকি নিতে উৎসাহিত করার জন্য আরও উদার সুবিধা প্রদান করা উচিত।

 রেজোলিউশন ফাউন্ডেশন যুক্তি যে এটি চাকরির বাজারকে আরও গতিশীল করবে এবং তুলনামূলকভাবে সামান্য ব্যয়ে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে ব্রিটেনের উত্পাদনশীলতা সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করবে।

অর্থনীতিবিদ লুইস মারফি এবং মাইক ব্রুয়ার সুপারিশ করেছেন যে, যারা কমপক্ষে ১২ মাস ধরে কাজ করছেন এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের চাকরি হারিয়েছেন তাদের বেকারত্বে থাকা প্রথম তিন মাসের জন্য বেতনের ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত দেয়া উচিত।   

থিঙ্ক ট্যাঙ্কটি যুক্তি দেয় যে বেনেফি্ট  বাড়ালে মানুষ আরও ঘন ঘন চাকরি পরিবর্তন করতে উত্সাহিত হবে। কারণ এর ফলে তারা তাদের বিল পরিশোধ করা নিয়ে চিন্তায় থাকবেনা।

বর্তমানে বেকারত্বের সুবিধা গড় মজুরির ১৪ শতাংশ, যা শ্রমিকদের কাজ পরিবর্তন করা থেকে দূরে রাখে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।  

বিপরীতে ডেনমার্ক ৯০ শতাংশ, নেদারল্যান্ডস ৭৫ শতাংশ এবং কানাডা  বেতনের ৫৫ শতাংশ ভাতা দেয়।

মিজ মারফি বলেন, উচ্চতর সুবিধাগুলি শ্রমিকদের তাদের জন্য সর্বোত্তম চাকরি খুঁজে পেতে কিছুটা অতিরিক্ত সময় দেবে, কেবল প্রথম পাওয়া চাকরি নিতে বাধ্য তারা বাধ্য হবেনা।

তিনি যুক্তি দেন  যে, এটি ব্যবসা, অর্থনীতি এবং চাকরিপ্রার্থীদের জন্য উপকারী হবে।

মারফি বলেন, ‘চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে এবং নতুন চাকরি মন মতো না হবার ভয়ে ব্রিটেনজুড়ে অনেক কর্মী তাদের ক্যারিয়ার আঁকড়ে থাকছেন। এবং যারা কাজের  বাইরে রয়েছেন তাদের অনেকে তাদের দক্ষতার সাথে মেলে এমন একটি চাকরি ধরে রাখার পরিবর্তে তাদের প্রস্তাবিত প্রথম কাজটি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।

“বেকারত্বের কারণে পরিবারের আয়ের যে বড় ক্ষতি হতে পারে তা শ্রমিকরা বহন করতে পারে না। কিন্তু ভুল চাকরিতে থাকা এবং আরও ভাল কাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য সময় এবং আত্মবিশ্বাস না থাকা কেবল ব্যক্তিদের জন্যই খারাপ নয়। এটি আমাদের অর্থনীতিকে কম উত্পাদনশীল করে তোলে এবং ফলস্বরূপ ব্রিটেনকে আরও দরিদ্র করে তোলে।  

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ থেকে পাওয়া প্রমাণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে উচ্চ তর বেকারত্ব বেনিফিটযুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বেশী বেতনের কাজ খুঁজে নেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে এটি তাদের এবং অর্থনীতির জন্য একটি মূল্যবান বিনিয়োগ।

যুক্তরাজ্যে চাকরি পরিবর্তনের হার  তা এক চাকরি থেকে অন্য চাকরিতে যাওয়া, কিংবা কাজ ছেড়ে দেয়া বা চাকরিচ্যুত হওয়া যে কোন বছরের হিসেবেই কমে গেছে। এটি ২০০১ সালে ৩০ শতাংশেরও বেশি থেকে ২০১৯ সালে ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে চাকরির বাজার আরও স্থবির হয়ে উঠছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে