বাড়ি বিশ্ব ৭১ বছর বয়সী আমেরিকান সন্ত্রাসী হত্যা করলো ৬ বছরের মুসলিম শিশুকে

৭১ বছর বয়সী আমেরিকান সন্ত্রাসী হত্যা করলো ৬ বছরের মুসলিম শিশুকে

165
0

আলজাজিরাঃ ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ছুরিকাঘাত ও তার ৩২ বছর বয়সী মাকে গুরুতর আহত করার অভিযোগে ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা ও ঘৃণামূলক অপরাধের অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।

শিকাগোর উইল কাউন্টি শেরিফ অফিস রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, “গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে এই নৃশংস হামলার শিকার দুজনইকেই  সন্দেহভাজন ব্যাক্তি টার্গেট করেছিল কারণ তারা মুসলিম।

শনিবার সকালে শিকাগো থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বাড়িতে নিহত দুজনকে খুঁজে পায় পুলিশ।

শেরিফের কার্যালয় জানিয়েছে, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা শিশুটিকে সামরিক স্টাইলের একটি বড় ছুরি দিয়ে ২৬ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

মায়ের শরীরে এক ডজনেরও বেশি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। রবিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তবে আশা করা হচ্ছে যে তিনি বেঁচে যাবেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি, যার পরিচয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি, শনিবার তাকে “বাড়ির ড্রাইভওয়ের কাছে মাটিতে হাত পা ছড়িয়ে বসে থাকতে দেখা যায় এবং তার কপাল কাটা ছিল।

রবিবার তাকে  পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয় এবং তিনি আদালতে হাজিরার অপেক্ষায়  ছিলেন। পুলিশ তার বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রী হত্যা, ফার্স্ট ডিগ্রী হত্যার চেষ্টা, ঘৃণামূলক অপরাধের দুটি অভিযোগ এবং মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ এনেছে।

শিকাগো চ্যাপ্টারের কাউন্সিল অব আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) নির্বাহী পরিচালক আহমেদ রিহ্যাব তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত এবং আমাদের প্রার্থনা হতভাগা শিশু এবং তার মায়ের সাথে রয়েছে।

হামলার শিকার হওয়া দুজন  হলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিশু ওয়াদিয়া আল-ফায়ুম এবং তার মা হানান শাহীন।

 কেয়ারের   বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা যখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছি।  এই মুহুর্তে আমরা যা নিশ্চিত করতে পারি তা হ’ল নিজের বাড়িতে একটি খুন হওয়া , ছয় বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে যে কয়েক সপ্তাহ আগে তার জন্মদিন উদযাপন করেছিল এবং গুরুতর অবস্থায় একজন মা হাসপাতালে পড়ে আছে।  দুজনকেই এক ডজনেরও বেশি বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ”  

রিহাব জানিয়েছে, আমাদের কাছে কাছে হামলায় বেচে যাওয়া  মায়ের সাক্ষ্য রয়েছে যে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে এই জঘন্য ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেবে বলে কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

ওই পরিবারের সদস্যরা দুই বছর ধরে ওই বাড়ির নিচতলায় বসবাস করছিলেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাদের বাড়িওয়ালা বলে জানা গেছে।

ছুরিকাঘাতের আগে শিশুটির বাবার কাছে মায়ের পাঠানো টেক্সট মেসেজের উদ্ধৃতি দিয়ে কেয়ার জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি চিৎকার করে বলেছিল, ‘তোমাদের মুসলমানদের অবশ্যই মরতে হবে!’ কেয়ার  এই অপরাধকে ‘আমাদের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ এবং ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ঘৃণামূলক ফোন কল ও ইমেইলের বিরক্তিকর বৃদ্ধির অংশ বলে অভিহিত করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে