বাড়ি কমিউনিটি ফিলিস্তিনের-গাজায় অসহায় মজলুম মানুষকে সাহায্য করায় আল- খায়ের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে লন্ডনে সূধী...

ফিলিস্তিনের-গাজায় অসহায় মজলুম মানুষকে সাহায্য করায় আল- খায়ের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে লন্ডনে সূধী সমাবেশ ও কৃতজ্ঞতা সার্টিফিকেট বিতরণ

110
0


খালেদ মাসুদ রনি: ইউকে ভিত্তিক আন্তর্জাতিক চ্যারেটি আল-খায়ের ফাউন্ডেশন গাজা ফিলিস্তিনের বর্তমান করুন বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে মানবিক সাহায্য, মেডিকেল সাপোর্ট ও ত্রাণ বিতরণে ঐতিহাসিকভাবে স্মরণীয় ও অতুলনীয় অবদান রেখে চলেছে। সম্প্রতি লন্ডনের প্রায় ত্রিশটি মসজিদ ভিত্তিক চ্যারেটি তাদের উদ্যোগে জমাকৃত দান আল খায়ের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গাজায় বিতরণ করে এবং পঞ্চম মেডিকেল কনভয় গাজায় প্রবেশ করার পর আল-খায়ের ফাউন্ডেশন-ইকরা টিভির দাতা ও অংশীদার সংস্থার পক্ষ থেকে সূধী সমাবেশ এ সংশ্লিষ্ট মসজিদ সমুহের দায়িত্বশীলদের মাঝে কৃতজ্ঞতা সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়। গত ২৯ নভেম্বর বুধবার পূর্ব লন্ডনের নিজস্ব কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্টিত হয়।

সূধী সমাবেশে যুক্তরাজ্য জুড়ে মসজিদগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সহানুভূতি এবং ভ্রাতৃত্বের কথা স্বরণ করে আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইমাম কাশিম গাঁজায় ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের বহুমাত্রিক জরুরী মানবসেবা গাজা-ফিলিস্তিনে বহুবছর ধরে অব্যাহত রয়েছে, দুইশতাধিক সংস্থা এবং মসজিদ আল-খায়েরের মাধ্যমে শুরু থেকেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় ত্রান বিতরণ, হাসপাতাল ও ঘর নির্মানে সহযোগীতা করে যাচ্ছে । চ্যালেজিং এ সময়ে কমিউনিটির সকলের সহযোগীতায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে আল-খায়ের ফাউন্ডেশন।

শুধু এখানে শেষ নায়, গাজায় বহু বছরের চেষ্টায় আলখায়ের ফাউন্ডেশন অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বহুতল ভবনের হসপিটাল নির্মাণ করে রীতিমতো একটা ইতিহাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রায় ছয় হাজারেরও বেশি শিশুদের ভরন পোষনের ব্যয়বহুল দায়িত্ব আল-খায়ের অনেক আগে থেকেই সুচারুরূপে বহন করে আসছে। এতে মাসিক অর্ধেক মিলিয়ন পাউন্ডের বিরাট ব্যয়ভার বহনের কঠিন দায়িত্ব পূর্ব থেকেই আল-খায়ের আনজাম দিয়ে আসছে।যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে কিভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আল-খায়ের ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। বর্তমান সর্বশেষ নিকৃষ্টতম বর্বরতার সময়ে আলখায়ের ফাউন্ডেশন যে বিশাল পরিমাণে ফুডপ্যাক, রান্না খাবার ও ইমার্জেন্সি ঔষধ সামগ্রী গাজার মজলুম মানুষের কাছে সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে, এর নজীর খুঁজে পাওয়া কঠিন। গাজা- ফিলিস্তিনের মধ্যে সেবা প্রদানের এমন অতীত ও বর্তমান দেখে বৃটেন সহ দুনিয়ার প্রায় পাঁচ শত সংগঠন তাদের সাহায্য সহযোগিতা গাজার মজলুম মানবতার জন্য আল খায়ের এর মাধ্যমে আজ পাঠাতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে। বিশ্বস্ততা, সততা, নির্ভরযোগ্যতাও উপযুক্ততার এমন দৃষ্টান্ত আসলেই বিরল। ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা ও জুলুম নির্যাতনের শিকার গাজা বাসীদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ এবং গাজা বিনির্মানে সাফল্যের এ ধারাকে যেকোনো মূল্যে ধরে রাখা সময়ের সবচেয়ে বড়দাবি। এ দাবি পূরণে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে ইমাম কাশিম বলেন, বিশ্বব্যাপী যে কোন জরুরী সেবা পরিচালনার ক্ষেত্রে আল-খায়ের শতভাগ ডুনেশন দিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।পরে আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের সহযোগী সংস্থা ও বিভিন্ন মসজিদের প্রতিনিধিদের হাতে অনুস্টানে বিশেষ সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।

আল-খায়ের এর প্রশংসনীয় কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য দেন শায়খুল হাদীস মাওলানা মুফতি আবদুর রহমান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি আবদুল মুনতাকিম, মুফতি সালেহ আহমদ ও মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, শাহ মুনিম, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন ইকরা বাংলা টিভির উপস্থাপক মাওলানা আবদুল বাসিত। উপস্থিত সুধীজনের মধ্যে ছিলেন কে, এম আবু তাহের চৌধুরী, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মাওলানা ইমদাদুর রাহমান আল মাদানী, মাওলানা সাঈদ আলী দশঘরীও হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী ও মাওলানা হাফিজ মাসূম আহমদ সহ অনুস্টানে কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। পরিশেষে ইষ্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হুসাইন খান এর মোনাজাতের মাধ্যমে সভার পরিসমাপ্তি হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে