নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেন লন্ডনে মানব বন্ধনে বক্তারা।
বাংলাদেশের গত ৭ই জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে ১৯ই ফেব্রুয়ারি বৃটিশ পার্লামেন্টে স্কয়ারে লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (ইআরআই) এর উদ্যোগে এক মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সহ-সভাপতি রোকতা হাসানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ ও অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসউদুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আমার দেশ ইউকে‘র সম্পাদক ওলিউল্লাহ নোমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংগঠন ফাইট ফর রাইটসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বুরহান উদ্দিন চৌধুরী।
উক্ত মানব বন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরআইয়ের সাধারণ সম্পাদক নওশীন মোস্তারী মিয়া সাহেব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অলিউল্লাহ নোমান বলেন, ১/১১-এর জরুরী আইনের সরকার ভারতের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল ভারতের এজেন্ট হিসাবে। শেখ হাসিনা ভারতের এজেন্ট হিসাবে দেশের সার্বভৌমত্ব বিনাসী করিডোর, চট্টগ্রাম ও খুলনা সমুদ্রবন্দরসহ জাতীয় সম্পদ ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। এছাড়া দিল্লী পরোক্ষভাবে দেশকে শোষণ করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে। এখন ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তির লড়াই ছাড়া রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তি যেমন সম্ভব নয়, তেমনি মানুষের ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনাও সম্ভব নয়। ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তি পেলেই কেবল ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার ফিরে আসবে। ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইআরআইয়ের সহ সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, ওয়েল ফেয়ার সেক্রেটারি সালেহ হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আজিজুল রহমান, জয়েন্ট সোক্রেটারি আবু সালেহ,সেক্রেটারি অব মাইনোরিটি মোঃ লিটন আলী মোল্লা, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি ব্লগার ইয়াস কাওসার, সেক্রেটারি অব মাইনোরিটি রাইট তাহমিনা আক্তার ,জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ইউকে’র নেতা হানিফ রাব্বানী মিলাদ, বুরহান উদ্দিন,শাহিন আহমেদ, ই আর আইয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম, বিএনপি নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সায়েদ আহমেদ মোঃ আবু নাসের তানজীম, শেখ আব্দুল লতিফ, বিএনপি নেতা মো: ফজল আহমদ, তোফায়েল আহমেদ, ই আর আইয়ের এক্সেকিউটিভ মেম্বার মোঃ আলম আহমদ, সাবেক শিবির নেতা ও ই আর আইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আলিম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, ই আর আইয়ের সিনিয়র সোক্রেটারি মাহমুদ হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল জাবির,জহিরুল ইসলাম, আহমদ আলী, জালাল আহমদ, আইনুদ্দিন, মাসুম বিল্লাহ, মোঃ সাবাজ মিয়া, গিয়াস উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ই আর আইয়ের ক্যাম্পাইন সেক্রেটারি মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, আশিক নুর পাপ্পু, সানজিয়া চৌধুরী, মো মাহফুজুর রহমান, বিরহাম উদ্দিন, ফাহমিদা আহমেদ, আবু তাহের নাহিম, আবু হানিফ, সাজ্জাদ হোসেন মাহান, জামিল আহমেদ, খালেদ আহমেদ, মো জাহিদুল হাসান, আহমেদ আলী, মোঃ আবু নাসের তানজীম, কাজী ইনামুল হাসান, দীপা বেগম, কে এম ওয়াহিদ ইশতিয়াক, শাওন বিশ্বাস, তোফায়েল আহমদ, মোঃ মোতাছিম, বিল্লাহ জাজেব, তাম্মাম ইসলাম, শেখ অরনাউফ, মোঃ আরিফুল ইসলাম জাহেদ, আবু জেহাদ, জহিরুল ইসলাম, জুবায়ের হাসান, সাঈদ আহমেদ, এনামুল হক মিলন, এ কে এম রুহুল আমিন সরকার, এহসানুল হক, আবু জেহাদ, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সায়েদ আহমেদ, মাসুম আহমেদ, ফরহাদ হোসেন, মোঃ তারেক আলী, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, আবু নাসের, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ছাদি আহমদ চৌধুরী, মোঃ ছাবিদ মিয়া, এবাদুর রহমান, কামরুল, জুমেদ, সায়েদ আহমদ, মাহমুদ হোসাইন প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোঃ বুরহান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির সাথে তামাশা করেছে। হাসিনা ভুলে গেছে বাঙালি জাতি ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয়না। এসবের হিসাব জাতি একদিন কড়া গন্ডায় বুঝে নিবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় অর্থ-সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে স্বৈরচারী আওয়ামী লীগের পতন ঘটানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এজন্য তরুন সমাজকে এর নেত্বত্ব দিয়ে গণ বিপ্লব ঘটাতে হবে।
সহ সভাপতি মোঃ ওসমান গনি তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। গত ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটারবিহীন কেন্দ্র গুলোই তার প্রমান। শতকরা ৭ জন ভোটার ও কেন্দ্রে যায়নি যাহা আওয়ামীলীগ সমর্থক ও তাদের নেতাকর্মীদের জন্যে খুবই লজ্জা জনক।
ইআরআই’র সাংগঠানিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার। মানুষের বাক স্বাধীনতার অধিকার ও মৌলিক অধিকারসহ সার্বিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।