২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে বিডিয়ার বিদ্রোহের নামে ভারতীয় তাবেদার শেখ হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে দিল্লির সরকারের মদদে অমাদের চৌকস দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করে বলে মন্তব্য ই আর আইয়ের সেমিনারে বক্তারা।
২৭ই ফেব্রুয়ারী পূর্ব লন্ডনে একটি হলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল বা ই আর আই “একটি স্বৈরাচারের গল্প এবং গণহত্যা বন্ধ করো মিসেস হাসিনা ” শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
সংগঠনের সহ সভাপতি মোঃ ওসমান গণির সভাপতিত্বে এবং অর্থ সম্পাদক মোহাম্মাদ মাসুদুল হাসানের পরিচালনায় উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গোবিন্দগঞ্জ স্মৃতি কলেজর সাবেক প্রভাষক ই আর আইয়ের সহ সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর হিউমান রাইটসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান।
ই আর আইয়ের ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি মোহাম্মদ বদরুল ইসলামের পবিত্র কোরান থেকে তেলোয়াত
এবং সংগঠনের সহ সভাপতি সাবেক শিবির নেতা রোকতা হাসানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে উক্ত সেমিনারটির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পূর্বে সেমিনারে প্রাথমিক বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারি নওশীন মোস্তারী মিয়া সাহেব।
উক্ত সেমিনারে বর্তমান সরকারের হাতে গুম, জেল এবং নিপীড়ণের শিকার ব্যাক্তিদের মধ্য থেকে দুর্বিষহ স্মৃতি চারণ করেন ক্যাম্পাইন সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম,মাইনোরিটি সেক্রেটারি তাহমিনা আক্তার, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ গিয়াস উদ্দিন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে যেয়ে দুঃখভারাক্রান্তভাবে প্রভাষক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের মানুষকে এমনভাবে কোনঠাসা করে রেখেছে যে শুধু আওয়ামীলীগের দাসত্ব শিকার করে নিলেই অনিয়ম, দুর্নীতি করে সর্বত্র ভালোভাবে থাকা যায়। ভিন্ন মতালম্বীদেরকে তাদের মত প্রকাশের কারণে সরকারের রোষানলের কারণে চাকুরী ছাড়তে হয়, নতুবা দেশ ছাড়তে হয়। উনি বলেন আমি নিজেও এই স্বৈরাচার হাসিনার রোষানলের শিকার। আমি একজন প্রভাষক আমার স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা, আমরা আজকে আমাদের শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে শুধু প্রাণ বাঁচাতে যুক্তরাজ্যে চলে আসি। আমার মতো বিরোধী মতালম্বী হাজার হাজার নেতা কর্মী, বিভিন্ন পেশার মানুষ আজকে জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।
উক্ত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ই আর আইয়ের সহ-সভাপতি মো: ইমাম হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল জাবের, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম, মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ, মো: ফজল আহমদ,ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারী সালেহ হুসাইন,সেক্রেটারি অব মাইনোরিটি রাইট মোঃ লিটন আলী মোল্লা, ই আর আইয়ের সদস্য হুমায়ুন আহমেদ, লায়েক আহমেদ, আমিরুল মোমিন, মো: জুনেদ আহমেদ, আরেফিন আহমেদ,আবু হানিফ, জোবায়েদ হাসান, এ কে এম রুহুল আমিন সরকার, ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি অব কালচারাল এন্ড এডুকেশন রায়হান চেীধুরী, বিএনপি নেতা ও ই আর আইয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ হানিফ রাব্বানী মিলাদ,শাহীন আহমেদ, বুরহান উদ্দিন, আবু জেহাদ,খুলনা বি এল কলেজ সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা তামান্না ইসলাম
এছাড়াও উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ই আর আইয়ের সদস্য মাহমুদুল হাসান, মো: সিনান সামী, মো: ইয়াহ ইয়া, সাবির আহমেদ, মারুফ আহমেদ, মো: ফাহাদ হোসাইন, রাকিব আলী, শাহিন আহমেদ, শাহরিয়ার কালাম আজাদ, মো: কামাল হোসেন, জুনের আহমদ, বাবুল তালুকদার, যুবায়েদ হাসান, রায়হান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম, এম আশরাফ উদ্দীন,দীপা বেগম
মো: শাহাদাত হোসাইন, মোহাম্মদ আল আমিন, মো: শাহরিয়ার ওয়াহিদ, মোঃ পারভেজ মিয়া সুজা, মেহেদি হাসান ফাহিম, মুনতাসির মুবিন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, আইনি বিশ্লেষণে আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি হাসিনা তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে মূলত বিডিয়ার হত্যাকান্ড ঘটায়। আর এই নৃশংস দেশদ্রোহী এমন হত্যাকাণ্ডের জন্যে আইনের দৃষ্টিতে হাসিনার ফাঁসি হওয়া উচিত এবং তাহা হতেই হবে।
সমাপণী বক্তব্যে উক্ত সেমিনারের সভাপতি মোঃ ওসমান গনি বলেন, বিডিয়ার হত্যাকান্ড ঘটিয়ে হাসিনা যে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলো, তার অবসানের জন্যে আমাদের মতো দেশপ্রেমিক যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। গণ আন্দোলনের পরিবেশ তৈরী করতে হবে তবেই এই স্বৈরাচার হাসিনার পতন অনিবার্য।