লন্ডনে প্রয়াত আলোকচিত্রী ফকরুল ইসলামের ফটো এলবাম ‘ইমার্সন অব লাইফ-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড বিজয়ী ও সিলেট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত আলোকচিত্রী/ ফকরুল ইসলামের বিশেষ বিশেষ আলোকচিত্র নিয়ে প্রকাশিত সংকলন— ইমার্সন অব লাইফ-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়েছে লন্ডনে।
অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তারা সিলেটের থিয়েটার এবং আলোকচিত্র জগতে মরহুম অধ্যাপক ফকরুল ইসলামের প্রতিভার কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়, সিলেটসহ নানা জায়গায় অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আছে তা হয়তো হাজার হাজার ছবি তুলেও ফ্রেমে বন্দি করে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু এসব জায়গায় ছবির জন্য ঘুরে ফিরে দেখেছেন, ছবি তুলে এনেছেন ফকরুল ইসলাম।তিনি শিল্পবোধ সমৃদ্ধ ছবি তুলে এনেছেন। তার ছবি মেহনতি মানুষের কথা বলে, সাধারণ মানুষের কথা বলে, জীবনের কথা বলে, কখনো হয়ে ওঠে কাব্যের শিল্প।
শুধু তাই নয় তার ফটোগ্রাফির শিক্ষাচর্চার মাধ্যমে তৎসময়ে সিলেটে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। আলোকচিত্রবিদ্যায় অনন্য অবদান রেখে গেছেন তিনি। সৃষ্টি করে গেছেন অসাধারণ সব আলোকচিত্রের শিল্পকর্ম। তিনি ধীমান মানুষ অধ্যাপক ফকরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব হলে চ্যানেল এসের হেড অব নিউজ কামাল মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইমার্সন অব লাইফ-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোকচিত্রী শিমু রাহমান।
সিলেট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কমিউনিকেশন অফিসার মাহবুব রাহমানের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিবিসিএ’র প্রেসিডেন্ট তফাজ্জল মিয়া, আলোকচিত্রী কাওসার আহমেদ, আলোকচিত্রী আহমেদ জাকু, সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জুবায়ের, সেক্রেটারি জেনারেল তাইসির মাহমুদ, ট্রেজারার সালেহ আহমদ, সাংবাদিক মিসবা জামাল, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান ও আলোকচিত্রী জি আর সোহেল প্রমুখ।
আলোচনা পর্ব শেষে মরহুম ফকরুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য আলোকচিত্রশিল্পী এবং সিলেটের জৈন্তা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক ফকরুল ইসলাম ২০১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর দেশ-বিদেশে অবস্থানরত আলোকচিত্রী জগতের তাঁর শুভাকাঙখী এবং সহকর্মী, বন্ধু কাওসার আহমেদ, বাবলা চৌধুরী, শিমু রাহমান, আহমেদ জাকু, মোহাম্মদ রিমন এবং মোহাম্মদ এখলাস উদ্দিনের বিশেষ উদ্যোগে ইয়ার্সন অব লাইফ ফটো এলবামটি প্রকাশিত হয়।