সরকার তিনজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) ও একজন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন:
- খন্দকার লুৎফুল কবির, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, পুলিশ সদর দপ্তর
- মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, ট্যুরিস্ট পুলিশ
- চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার
- ইমাম হোসেন, উপমহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্বে), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (৫৭ নম্বর আইন)-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে এই কর্মকর্তাদের অবসর দেওয়া হলো, এবং তারা নিয়ম অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা পাবেন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- ২৭ আগস্ট: অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কৃষ্ণ পদ রায়, কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম।
- ২২ আগস্ট: অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মাহাবুবর রহমান, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র। (মোহাম্মদ আলী মিয়াকে ১৩ আগস্ট সিআইডি থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিল)
- ২১ আগস্ট: অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. আতিকুল ইসলাম, উপমহাপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
- ১৩ আগস্ট: অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম (এসবি) এবং হাবিবুর রহমান (ডিএমপি কমিশনার)।
এছাড়াও, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান এবং পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেনকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ১৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।