বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারতের অবৈধ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ লং মার্চ শুরু করেছে।
পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বে লং মার্চটি শুরু হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ মাথায় ও হাতে জাতীয় পতাকা বেঁধে, ব্যানার নিয়ে এবং পিকআপভ্যানে চড়ে লংমার্চে অংশগ্রহণ করছেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন, যেমন ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘এই গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব’, ‘সোনিয়া আর গেরুয়া মোদি, গুম করেছে আমার নদী’, ‘খুনি ভারতের নদীর বাঁধ, বাংলাদেশের মরণ ফাঁদ’, ‘পদ্মা-তিস্তা-আবরার, যুদ্ধে ডাকে বারবার’, ‘স্বর্ণ দাস মরল কেন, খুনি ভারত জবাবে দে’, এবং ‘ফেলানী ও স্বর্ণা দাস, কাঁটাতারে ঝুলছে লাশ’।
সকাল থেকেই বিভিন্ন পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন লং মার্চে অংশ নিতে। এরপর তারা পিকআপে উঠে লং মার্চ শুরু করেন।
লং মার্চ শুরুর আগে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী। তিনি বলেন, “গত ১৭ বছরে দেশে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার কারণে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি। কিন্তু এখন আর আমাদের সামনে কোনো ফ্যাসিস্ট নেই। আমরা ভারতের অবৈধ সব বাঁধ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানাই এবং এ কারণেই আজকের এই লং মার্চ। ভারতের পানির আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
এর আগে, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লং মার্চের রুট সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, লং মার্চ সকাল ১০টায় যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তায় এবং দুপুর ২টায় চান্দিনায় পথসভা করবে। বিকেল ৪টায় কুমিল্লার টাউন হলে একটি জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখান থেকে পদযাত্রার মাধ্যমে বিবির বাজারে পৌঁছাবে।