গণতন্ত্রের কথা বলে আওয়ামী লীগ দেশে লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। পাশাপাশি দলটি বলছে, আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা বললেও বাস্তবে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রধান শক্তি। কথায় কথায় গণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে তারা দেশে এক ব্যক্তির শাসন ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। তাদের মিছিলটি সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর ও পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ পদে থেকে অপরাধ করেছেন, তাকে সেনা আইন ও ফৌজদারি- দুই আইনেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর বেনজীর আহমেদের (সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ) শুদ্ধাচার সনদ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অশুদ্ধ ও রং হেডেড সরকার প্রধানের পক্ষেই এরকম চরম দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়া সম্ভব।
প্রতিবছর ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে মন্ত্রী, এমপি, সকল বাহিনীর প্রধান, আমলা, শীর্ষ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতির সম্পদের তালিকা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা জাতীয় রাজস্ববোর্ডের এখতিয়ারে রাখার দাবি জানান সোলায়মান চৌধুরী।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার কয়েক হাজার বেনজীর ও আজিজ তৈরি করেছে। এদেরকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুযোগ দিয়ে তার বিনিময়ে এদের কাছ থেকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সার্ভিস নিয়েছে সরকার। ফলে দেশের সর্বক্ষেত্রে আজ হাহাকার।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান প্রমুখ।