বাড়ি বাংলাদেশ অক্টোবর মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতবেদন প্রকাশ করলো এইচআরএসএস

অক্টোবর মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতবেদন প্রকাশ করলো এইচআরএসএস

20
0

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরস্থিতি নিয়ে অক্টোবর মাসের প্রতিবেদন প্রকাশ করলো বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি। মানবাধিকার সংস্থাটির মতে, হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকার পরিস্থিতির কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আশানুরূপ উন্নতি লাভ করেনি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রিক রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনি, রাজনৈতিক মামলা ও গ্রেফতার, সাংবাদিক নিপীড়ন, শ্রমিক হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদের উপর নির্যাতন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার মতো ঘটনাগুলো অব্যাহত রয়েছে।

এই মাসে সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্র এবং দীপ্ত টিভির তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আসামিকে আদালতে তোলার সময় হামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বকেয়া মজুরির দাবিতে প্রায় ১৭ হাজার চা শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করেছেন, এবং আশুলিয়া ও সাভারে শ্রমিক অসন্তোষে পুলিশ গুলিতে একজন নারী শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া ভারতীয় সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী হত্যার পাশাপাশি মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশিদের ওপর আক্রমণের মাত্রাও বেড়েছে।

এইচআরএসএসের প্রতিবেদন অনুসারে, অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৬৮টি ঘটনার মধ্যে অন্তত ৯ জন নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছেন। সহিংসতার ঘটনাগুলোর বেশ কিছু ঘটেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। তাছাড়া এ মাসে কমপক্ষে ৩১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এছাড়াও সাংবাদিক নির্যাতনের ২১টি ঘটনায় ২ জন নিহত, ২২ জন আহত, এবং ৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

অক্টোবর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে বা হেফাজতে ৩ জন নিহত হন। কারাগারে ৪ জন আসামির মৃত্যুর ঘটনাও এই মাসে রেকর্ড করা হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিপির আক্রমণে কয়েকজন বাংলাদেশী নিহত এবং আহত হন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ১০টি হামলা হয়েছে, যেখানে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

গণপিটুনির ১৯টি ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং শ্রমিক নির্যাতনের ৩৮টি ঘটনায় অন্তত ২৬ জন মারা গেছেন। এছাড়াও নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে, যেখানে ৫৫ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ৭ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে “হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি” (এইচআরএসএস) সরকারকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে