– সিরাজুল ইসলাম শাহীন
প্রথম আলো তাদের বর্ষপূর্তির অনুষ্টানে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে। ৩৬ জুলাই বিপ্লবের মাঠের কোন যোদ্ধ্বার জায়গা সেখানে হয়নি (নিজেদের সার্টিফাইড দুয়েকজন ছাড়া)। কোন আলেম ওলামা ইসলামপন্থী এমনকি ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী সোচ্ছার কন্ঠের কারো স্থান নেই। এমনকি এই বিপ্লবে শহীদ, আহত -পঙ্গুত্ববরণ কারীদের ন্যূনতম স্বীকৃতি নেই। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামে পতিত সরকারের নৃশংসতার কোন উল্লেখ নেই। বৈষম্য তথা সামাজিক বিভক্তির বিরুদ্বে জেগে ওঠা গণবিপ্লবের মূল চেতনায় আঘাত করেছে এই অনুষ্টান । অথচ বিগত দানবীয় অপশাসনের নেপথ্য হোতা তথাকথিত সুশীলদের সম্মেলন ঘটিয়েছে সেখানে। মূলত এরা প্রতিবিপ্লবের ঘোষণাটা সেরে দিয়েছে।
এত সাহস তারা পেয়েছে দেশি বিদেশী খুঁটির জোরে। অপরাধী অপশক্তির সম্মিলিত সুপরিকল্পিত আঘাত এখানে স্পষ্ট। খালেদ মুশাররফ পাল্টা ক্যু করে বঙ্গবভন দখল করেছিলেন। এরা আমাদের নির্বাচন -সংস্কারের ঘোরে রেখে সব করায়ত্ব করছে। বিতর্কিত নিয়োগ আর সিদ্ধান্তের উৎস একদম স্পষ্ট। একমাত্র সমাধান জনবিস্ফোরণের পাল্টা আঘাত। ” কশিম বাজার কুটি ” গুড়িয়ে দিয়ে চুপ্পু হটিয়ে বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে। সংবিধান বাতিল করে ঘাপটি মেরে থাকা চক্র তথা সকল মাফিয়া হঠাতে হবে। প্রধান রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের সময় এখন। প্রয়োজনে তরুণদের আবার এগিয়ে আসতে হবে।
মুহূর্তের কালক্ষেপন বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে । পাল্টা ক্যু প্রতিহতের ডাক দিয়ে মাঠ দখল অপরিহার্য্য।