মহাবিশ্বের ‘মৃত্যুর দিন’ জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা — পৃথিবীর জন্য সময় যেন এখন উল্টো দিকে চলছে
Trending
বাংলাদেশে এই প্রথম “হিউম্যান রাইটস অলিম্পিয়াড-২০২৫” এর লিখিত পরীক্ষা ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবাধিকার শিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি আয়োজিত “হিউম্যান রাইটস অলিম্পিয়াড-২০২৫” –এর লিখিত পরীক্ষা আজ ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার দেশের তিনটি বিভাগীয় শহরে একযোগে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।। লিখিত পরীক্ষাটি সকাল ১০:০০টা থেকে ১১:০০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এই অলিম্পিয়াড শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি মানবাধিকার বিষয়ক জ্ঞানের বিকাশ এবং চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন গুম তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলামসহ বিশিষ্টজন। পরীক্ষা শেষে মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন ”এইচআরএসএস’এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো মানবাধিকার অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনাদের মতো যারা তরুণ আছেন তারা মানবাধিকার সম্পর্কে আরো সচেতন হবেন এবং ভবিষ্যতে অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য আরো কিছু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।” তিনি আরো বলেন, “বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মানবাধিকার পরিস্থিতি কোনো না কোনোভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তবে কিছু দেশের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি প্রায়ই উদ্বেগজনক ও সংকটাপন্ন থাকে। বাংলাদেশ সেসব দেশের অন্যতম। এদেশের মানুষ হিসেবে তাই আমাদের কিছু বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এদেশের সাধারণ অসহায় মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সরকার জনসেবামূলক অবকাঠামো তৈরী করে। এখানে উপস্থিত সকলেই এইসকল রাস্ট্রীয় অবকাঠামোর সুবিধাভোগী হিসেবে দেশের ট্যাক্স প্রদানকারী জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়িত্ব পালতে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশেষত: যেখানেই মানুষ নিপীড়িত হবে সেখানেই আমাদের দায়িত্ব তাদের জন্য কিছু করার।”
মানবাধিকার কর্মী ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল বলেন, “আমাদের অলিম্পিয়াড আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি সৃষ্টি করা, অংশগ্রহণমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মানবাধিকারকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। এই অলিম্পিয়াডের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে মানবাধিকার চর্চায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আপনাদেরকে মানবাধিকার রক্ষায় সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।” শেষে তিনি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, সাংবাদিকসহ সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান ।