মাত্র ১৫ পাউন্ড দামের একটি ভ্যাক্সিন আলঝেইমার রোগে আক্রান্তদের স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনবে।

ইদুরের ওপর এই ভ্যাক্সিনটি প্রয়োগ করে দেখা গেছে মস্তিস্কের এটি স্মৃতিশক্তি হ্রাসকারী বেয়ারা প্রোটিনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এর ফলে ফিরে আসে স্মৃতিশক্তি।

ব্রিটিশ এবং জার্মান বিজ্ঞানীদের মতে, যুগান্তকারী এই থেরাপি চিকিৎসায় বিপ্লব আনতে পারে।

দুই বছরের মধ্যেই এই কৌশল প্রয়োগ করে চিকিৎসা শুরু করা যাবে। এটি অ্যামাইলয়েড বেটা`র উচ্চ দ্রবণীয় এবং বিশাক্ত টুকরোগুলকে টার্গেট করে এবং সেগুলোকে জট বাঁধতে সাহায্য করে।

জার্মানির গটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টমাস বেয়ার, যিনি এই গবেষণার সহ-লেখক, বলেন, “ক্লিনিকাল পরীক্ষায়, প্রচলিত সম্ভাব্য চিকিত্সাগুলির কোনওটিই অ্যালঝাইমারের উপসর্গগুলি হ্রাস করার ক্ষেত্রে খুব বেশি সাফল্য দেখায়নি। কোন কোনটি নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে। সুতরাং আমরা একটি ভিন্ন পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

“আমরা ইঁদুরের মধ্যে একটি অ্যান্টিবডি সনাক্ত করেছি যা দ্রবণীয় অ্যামাইলয়েড বেটার টুকরোগুলিকে নিষ্ক্রিয় করবে, কিন্তু প্রোটিনের স্বাভাবিক রূপের সাথে বা ফলকের সাথে আবদ্ধ হবে না।”

তারা পরবর্তীতে ট্যাপ০১ নামের অ্যান্টিবডিকে অভিযোজিত করে যাতে করে আমাদের ইমিউন সিস্টেম এটিকে বিদেশী বলে প্রাত্যখান না করে। বিজ্ঞানীদের অবাক করে দিয়ে প্রোটিনটি নিজেই গুটিয়ে যায়। পরীক্ষায়, অ্যান্টিবডি এবং তৈরী করা ভ্যাকসিন উভয়ই মস্তিষ্কের নিউরন ফাংশন মেরামত করে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ বিপাক বৃদ্ধি করে। আর ফলাফল? স্মরণশক্তি ফিরে পাওয়া।

লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-লেখক অধ্যাপক মার্ক কার বলেন, “এই ফলাফলগুলি মানুষের উপর করা পরীক্ষায় ব্যবহার করা হলে এটি যুগান্তকারী হতে পারে। ”

“এটি কেবল অ্যালঝাইমারের চিকিৎসা সম্ভাবনাই উন্মুক্ত করবেনা, বরং টীকা দেওয়ার মাধ্যমে তা রোধও করা যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে