ইউরোবাংলা ডেস্কঃ প্রভাবশালী দেশগুলোর সাথে ইরানের নতুন সরকারের আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে যদি দেশটির ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের সবধরনের অবরোধ তুলে না নেয়া হয়। তেহরানের প্রধান মধ্যস্থতাকারী নতুন করে আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে একথা বলেন। ভিয়েনাতে শুরু হতে যাওয়া এই আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকে ওবামার সময়ে স্বাক্ষর করা যুগান্তকারী চুক্তিতে ফিরিয়ে আনা। ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে।
তবে আলি বাঘেরি কানি জোর বলেছেন, ফ্রন্টে যে কোনও অগ্রগতি অর্জন করতে হলে আগে সমস্ত আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে হবে। একই সাথে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, ওয়াশিংটনের একটি ভবিষ্যৎ প্রশাসন মিঃ ট্রাম্পের মতো চুক্তিটি থেকে আবার সরে আসবে না।
ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে মিঃ বাঘেরি কানি আরও অভিযোগ করেছেন যে বাইডেন প্রশাসন তার পূর্বসূরির কিছু ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে এবং তেহরানের উপর “সর্বোচ্চ চাপের” “ব্যর্থ নীতি” অব্যাহত রেখেছে, যা “রাজনৈতিক বিভ্রান্তি” সৃষ্টি করছে।
মিঃ বাঘেরি কানির এই সতর্কবার্তা, যিনি একজন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীও, এমন এক সময় এলো যখন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা এবং শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান বুধবার জানিয়েছেন যে তেহরানে অনুষ্ঠিত আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ পরিদর্শকদের পারমাণবিক স্থানে প্রবেশ করতে দেওয়ার অস্বীকার করার কারনে।
আইএইএ-র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, প্রবেশাধিকার না পাওয়ার কারনে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং এর ফলে জেসিপিওএ-র অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে।