ক্রিসমাসের ক্রেতারা কার্ডিফের কেন্দ্র দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এখানে লোকজনকে আগামী সপ্তাহগুলিতে আরও বিধিনিষেধের জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে।

ইউরোবাংলা রিপোর্টঃ কর্মকর্তারা ক্রিসমাস এর পরে দুই সপ্তাহের লকডাউন এর জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করছেন। টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কেবলমাত্র কাজের জন্যই ঘরের ভেতরে অন্যদের সাথে মেলামেশা করা যাবে। পাব এবং রেষ্টুরেন্টগুলো কেবলমাত্র সীমিত সময়ের জন্য বাইরে সেবা দিতে পারবে।

ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে যে, তথাকথিত প্লান ‘সি’ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে কয়েকটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই মৃদু লকডাউনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি আছেন এমন ব্যক্তিরা বলেছেন যে, তিনি কেবল মাত্র একটি নির্দেশনা দিতে ইচ্ছুক ছিলেন।  তবে অমিক্রণের যে হুমকি  রয়েছে সে সম্পর্কে বাস্তববাদী হওয়ার জন্য তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সাইন্টিফিক অ্যাডভাইজারি গ্রুপ ফর ইমারজেন্সি’র ফাঁস হওয়া এক মিটিং মিনিট থেকে জানা গেছে বিজ্ঞানীরা মন্ত্রীদেরকে খুব শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দরকার বলে পরামর্শ দিয়েছে।

উপদেষ্টারা স্পষ্টতই গত বসন্তের লকডাউন সহজ করার জন্য যে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের পদক্ষেপগুলো নেয়া  হয়েছিল  ঠিক সেরকম ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। সে সময় ঘরের ভেতরে মেলামেশা এবং আতিথেয়তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

তারা ২০২২ সাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিলম্ব না করার জন্য সতর্ক করেছেন সরকারকে।

লন্ডনে কোভিড আক্রান্ত মানুষের হসপিটালে ভর্তি সংখ্যা গত সাত দিনে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৩৪ এ পৌঁছেছে।  গত সপ্তাহ থেকে এটি ২৮.৬% ভাগ বেশি।

শুক্রবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে আরো ৯৩,০৪৫ টি কোভিড-১৯ এর কেইস রেকর্ড করা হয়েছে যা মহামারী শুরু হওয়ার পর এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। এটি আগের দিন বৃহস্পতিবার এর রেকর্ড থেকে ৪৬৬৯ টি বেশি।

এদিকে অমিক্রনের হুমকির মুখে বুস্টার  প্রোগ্রামটি ত্বরান্বিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অর্ধেক বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের ২৬.৩ মিলিয়ন এই বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।

এ সপ্তাহে সারাদেশে ওয়াকিং ইন সুবিধার পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অনলাইনেও টিকা বুকিং করার সুবিধা খোলা হয়েছে। এবং এই কর্মসূচিতে সহায়তা করার জন্য রেসকোর্স, ক্রিসমাস মার্কেট এবং ফুটবল স্টেডিয়াম গুলি এই সপ্তাহে টিকা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত ৩০০০ সাইটের মধ্যে থাকবে।

এন এইচ এস এর জাতীয় চিকিৎসা পরিচালক অধ্যাপক স্টিফেন পাউইস বলেন,  এন এইচ এস মানুষের জন্য জ্যাব পাওয়া সহজ করার নিমিত্তে সব ধরনের উপায় ব্যবহার করছে। এনএইচএস কর্মীরা শনিবার ও রবিবার ২৯০০ জায়গায় টিকা দেবেন।

এর মধ্যে রয়েছে এনফিল্ড স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ এবং আওয়ামী লীগ ফুটবল মাঠ এবং স্যান্ডন পার্ক, বার এবং চেমসফোর্ড এর তিনটি রেসকোর্স ময়দান।

এই সপ্তাহান্তে টীকার জন্য খোলা অন্যান্য স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে চেষ্টার ক্যাথিড্রালের ক্রিসমাস মার্কেট, লিভারপুল ক্রিসমাস আইস ফেস্টিবল, কেন্টের ব্লু ওয়াটার শপিং সেন্টার এবং লন্ডনের অক্সফর্ড স্ট্রিট। তবে এসব স্থানে একটি ভ্যাকসিন বাস থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে