ইউরোবাংলা ডেস্কঃ মিশরের কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন ‘আধুনিকীকরণ’ করার পরিকল্পনার জন্য প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হচ্ছে। একজন মিশরীয় লেখক এবং সাংবাদিক পবিত্র কুরআনের আধুনিক ব্যাখ্যা লেখার বিষয়ে দেশটির সিনেট কর্তৃক আলোচিত একটি প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন।
সিনেটের ধর্মীয় কমিটির প্রধান ইউসুফ সাইয়েদ আমের এই প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নতুন ব্যাখ্যা ইসলামের সংযমকে তুলে ধরবে এবং চরমপন্থার মোকাবিলা করবে। আমের আরও বলেন, এটি কিছু হাদিসের উত্তর প্রদান করবে যা চরমপন্থী দলগুলো তাদের মতাদর্শকে ন্যায়সঙ্গত করার জন্য ব্যবহার করে।
লেখক এবং সাংবাদিক কুতুব আল-আরাবি, তার পরচালিত Arabi21 ওয়েবসাইটে লিখেছেন যে, এই ধরনের একটি প্রস্তাবে নীরবতা সম্ভব নয় কারণ এটি রাজনীতিবিদ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা উত্থাপিত হয়েছে, পণ্ডিত এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নয়। তিনি বলেন, সরকার ও শাসকদের সেবা করার লক্ষ্যে মুস্সলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের হেরফের গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বিস্মিত হয়ে বলেন, “আন্তর্জাতিক চাপ গোষ্ঠীগুলোকে সন্তুষ্ট করার জন্য সমাজে অস্বাভাবিক ঘটনাকে আচ্ছাদন এবং ন্যায়সঙ্গত করার জন্য কোরানের আয়াতগুলোকে অন্যায় নীতি পরিবেশন বা বিকৃত বোঝাপড়া উপস্থাপনের সাথে মিলিয়ে ফেলার বিষয়টি কে মেনে নিতে পারে?”
তিনি আমেরের পেশ করা প্রস্তাবএবং দেশটির আওকাফ মন্ত্রী এবং গ্র্যান্ড মুফতি কর্তৃক অনুমোদিত প্রস্তাবকে একটি “নতুন রাষ্ট্রের” মিথ্যাচারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি আরো দাবি করেন যে, এই প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ এল-সিসি এবং প্রচার মাধ্যম কথাই বলে চলেছে।”
আল-আরাবি বলেছেন যে, এই মিথ্যার উপর ভিত্তি করে, সিসি একটি নতুন রাজধানী তৈরি করেছেন এবং এর জন্য একটি নতুন পরিচয় বাজারজাত করতে চান।
বর্তমান আরব-ইসলামিক পরিচয়ের বিকল্প হিসেবে এই ফেরাউনী পরিচয় উপস্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কেউ এটা অস্বীকার করতে পারে না যে শীঘ্রই এর জন্য একটি নতুন পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করা হবে।