বাড়ি কমিউনিটি নিউইয়র্কে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের অভূতপূর্ব সাড়া ।। ৩...

নিউইয়র্কে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের অভূতপূর্ব সাড়া ।। ৩ লক্ষ্য ডলারেরও বেশি আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি

79
0

লেটস বিট ক্যান্সার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের নেটওয়ার্কিং এন্ড ফান্ডরাইজিং ডিনারে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। বিশেষ করে বৃহত্তর সিলেট ও বিয়ানীবাজারের প্রবাসীরা মানবিক এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ১৮ জুন রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় নিউইয়র্কের ওজনপার্কের দেশী সিনিয়র সেন্টারে এই অনুষ্ঠান থেকেই দেশের উপজেলা পর্যায়ের প্রথম ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনায় ৩ লক্ষ্য ডলারেরও বেশি অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রবাসীরা।

অনুষ্ঠানে ৮ জন নতুন ট্রাস্টি মেম্বার হিসেবে হাসপাতালটি সাথে যোগ দিয়েছেন। ৫০ জনেরও বেশি লাইফ মেম্বার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যার মধ্যে অনেকেই তাদের অনুদানের অর্থ ইতিমধ্যে পরিশোধ করেছেন। প্রতিশ্রুতি দেয়া ৮ জন নতুন ট্রাস্টি মেম্বার হলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মুক্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুল হক, হাজী শামসুল ইসলাম, শামসুল আবেদীন, একেএম আশরাফ উদ্দিন, মোহাম্মদ এস রহমান, আবুল হোসেন ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর একজন।

ফান্ডরাইজিং ডিনার এর অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী। হাসপাতালের ট্রাষ্ট্রি মারুফ আহমেদ চৌধুরীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সাউদুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ বিয়ানীবাজার সমিতির উপদেষ্টা ও হাসপাতালের নতুন ট্রাষ্টি আলহাজ শামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সাউদুজ্জামান চৌধুরী তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার হাসপাতালের বিভিন্ন মানবিক ও সেবামূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন। এ সময় ট্রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল ডিরেক্টর-ডাঃ কবির মাহমুদ, সিনিয়র ফান্ডরাইজিং ডিরেক্টর আব্দুস শফিক, ভাইস চেয়ারম্যান, সুহেল আহমেদ খান, হাসপাতালের উপ-অর্থ পরিচালক মঞ্জুরুস সামাদ চৌধুরী,।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন, সেন্টার ফর নন রেসিডেন্স অব বাংলাদেশী (এনআরবি)-এর চেয়ারম্যান শাকিল চৌধুরী, ক্যান্সার হাসপাতালের প্রাক্তন মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মহিউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ বাসিত, প্রফেসর ডা. মাহফুজুর রহমান খালেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান, যুক্তরাষ্ট্রস্থ বিয়ানীবাজার সমিতির সভপাতি মোঃ আবদুল মান্নান, বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আব্দুল আজিজ ভুঁইয়া, আহসানিয়া মিশনের কর্মকর্তা আনিসুল কবির জেসির, টাইম টিভির সিইও আবু তাহের, প্রথম আলো যুক্তরাষ্ট্রের সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, যুক্তরাজ্য থেকে আগত সাংবাদিক জামাল উদ্দিন, বিশিষ্ট সংগঠক সারওয়ার হোসেন প্রমুখ।

এ সময় বিয়ানী বাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হসপিটালের মার্কেটিং ডিরেক্টর, ফরহাদ হোসেন টিপু পাওয়ার পয়েন্ট ও ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে হাসপাতালের শুরু থেকে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকান্ড ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের সিইও সাহাব উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে দেশের উপজেলা পর্যায়ে প্রথম বিশেষায়িত হাসপাতালটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিয়ানীবাজার এবং আশপাশের উপজেলাগুলোর মানুষ ক্যান্সারের প্রাথমিক স্ক্রিণিং সেবা নিয়েছেন। দিনে দিনে হাসপাতালটির চাহিদা বাড়ছে তাই সেবার পরিধি বাড়াতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তা নিঃসন্দেহে হাসপাতালটিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সিংক:

ফান্ড রাইজিং ডিনার আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী বদরুল হক।

সিংক:

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের উদ্যোগে নির্মিত ও পরিচালিত দেশের উপজেলা পর্যায়ের প্রথম ও একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতাল বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল-বিবিসিজিএইচ। হাসপাতালটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মানুষ গড়ার কারিগর বয়োবৃদ্ধ অবসরপ্রাপ্ত সম্মানিত শিক্ষক এবং দরিদ্র ও অসহায় ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এখানে কেমোথেরাপিসহ ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা সেবা চালু রয়েছে। চলতি মাসেই হাসপাতালটিতে অত্যাধুনিক এন্ডোস্কপি ও কোলনস্কপি সেবা চালু হয়েছে। হাসপাতালটি স্থাপনের পর থেকে বিয়ানীবাজার ও আশপাশের উপজেলাগুলোর লাখো মানুষ সেবা নিচ্ছেন। বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সারের স্ক্রিণিং করা এবং ক্যান্সার ধরা পড়ায় পরবর্তী পদক্ষেপের মাধ্যমে অনেক মানুষের জীবনরক্ষা সম্ভব হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে