নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর ভিক্টিমস ইউকে এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই।
চীন রাশিয়া ভারতের সমর্থন নিয়ে হাসিনা ডামি
নির্বাচনকে বৈধতা দিতে চাইলেও জনগণ তাহা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। যাহা ভোটারদের অনুপস্থিতিই আবারো প্রমান করেছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের তাঁবেদারি থেকে মুক্ত হয়ে তার সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কারাগার থেকে মুক্ত করা সম্ভবপর নয় । তাই গণতন্ত্র ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন গণ আন্দোলন ।
অবৈধ ডামি নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পুনঃব্যবস্থা, বেগম খালেদা জিয়া ও ডাঃ শফিকুর রাহমানের মুক্তি এবং বাংলাদেশকে ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্র করার চক্রান্তের প্রতিবাদে পূর্বলন্ডনের মাইক্রো বিসনেস সেন্টার হলে গত সোমবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ আয়োজিত আলোচনা ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।
জাস্টিস ফর ভিক্টিমস ইউকের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সম্পাদক তানভীর আহমেদ ও সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার যুক্তরাজ্য শাখার নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান।
উক্ত আলোচনা ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগরের সাবেক শিবির সভাপতি শাহরিয়ার আলম শিপার, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের প্রভাষক, সাবেক ছাত্রদল নেতা যুক্তরাজ্য বিএনপির সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মানবাধিকার সংগঠন ইকুয়াল রাইট্স ইন্টারন্যশনাল এর ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি, যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম। ফাইট ফর রাইটস এর সভাপতি মোঃ রায়হান উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী, বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন নেতাকর্মীদের মধ্যে উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জুবায়ের আহমেদ, মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ, মোঃ ওসমান গনি, দীপা বেগম, হানিফ রাব্বানী, মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম, মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান, বুরহান উদ্দিন , আমিনুল ইসলাম সফর, মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ কামরুল হাসান রাকিব, মোঃ রোকতা হাসান, মোঃ লিটন আলী মোল্লা, আনোয়ারুল আমিন,তাহমিনা আক্তার, তানভির উর রশিদ, কয়ছর রশিদ, সালেহ হোসাইন, আবু ছালেহ, হৃদয় ঘোষ, মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, নাইমুল ইসলাম রিফাত, আজিজুল রহমান, তানভীর শিপন, আবদুল্লাহ আল জাবির, মো শাহাদাৎ হোসেন, সানজিয়া চৌধুরী, মোঃ আশিক নূর পাপ্পু, মোহাম্মদ ইমরান আহমদ, প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন, নির্লজ্জ্ব এই হাসিনাকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। হাসিনা ভারতের সহযোগিতায় যে ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে তাতে ভোট কেন্দ্রে ভোটাদের অনুপস্থিতিই বলে দিচ্ছে জনগণ এই স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং গণতন্ত্রকে হত্যাকারী আওয়ামী হাসিনা সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছেনা।
সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান বলেন, ১/১১-এর জরুরী আইনের সরকার ভারতের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল ভারতের এজেন্ট হিসাবে। শেখ হাসিনা ভারতের এজেন্ট হিসাবে দেশের সার্বভৌমত্ব বিনাসী করিডোর, চট্টগ্রাম ও খুলনা সমুদ্রবন্দরসহ জাতীয় সম্পদ ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। এছাড়া দিল্লী পরোক্ষভাবে দেশকে শোষণ করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে। এখন ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তির লড়াই ছাড়া রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তি যেমন সম্ভব নয়, তেমনি মানুষের ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনাও সম্ভব নয়। ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তি পেলেই কেবল ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার ফিরে আসবে। ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে গত ৭ জানুয়ারি যে একতরফা নির্বাচন করেছে, দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ডামি নির্বাচন আমরা মানি না। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডামি সরকার দেশে আবারও একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তারা সংসদ ভেঙ্গে না দিয়ে তাদের মনোনীত এমপিদের শপথ পড়িয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, এই সরকার সারা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। ভিন্নমতের লোকদেরকে জেলে ভরে রেখেছে। সাজানো বিচারে সাজা দিচ্ছে। এসব প্রহসন বাদ দিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানসহ সকল বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় জনগণ রাস্তায় নেমে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। তারা অবিলম্বে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান।