বাড়ি কমিউনিটি বিবিসিসিআই এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত

বিবিসিসিআই এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত

36
0


রফিক হায়দার প্রেসিডেন্ট,
দেওয়ান মাহদি চৌধুরী ডিজি,ফাইনান্স ডিরেক্টর হেলাল উদ্দিন খান

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে বৃটেনের বাংগালী কমিউনিটির বিভিন্ন অতিথিদের নিয়ে ২০ জুন বৃহশপতিবার অপরাহ্নে বৃটেনের বাংগালী কমিউনিটির ঐতিহ্যবাহি সংগঠন বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ডকলান্ডের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন বৃটেনের সুনামধন্য জাজ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ( বৃটিশ জজ)সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জুবায়ের ও সলিসিটর মোহাম্মদ খালেদ নুর।

এখানে উল্লেখ যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্যিক সুসম্পর্ক আরো গতিশীল ও জোরদার করার দৃঢ় অংগীকার নিয়ে ১৯৯১ সালে গড়ে উঠে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি। আজ এই সংগঠনের অনেক প্রতিষ্ঠাতারা পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন, কিন্তু রেখে গেছেন তাদের হাতে গড়া প্রিয় সংগঠন বিবিসিসিআই। তাদের মধ্যে অন্যতম ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট এম এ রহিম, ডিরেক্টরস মাহমাদুর রশীদ, এনাম আলি এমবিই, বি আর চৌধুরী প্রমুখ। প্রয়াতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায় বিবিসিসিআই বর্তমান কমিটি।

এবারের নির্বাচন মুলত অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য। মোহাম্মদ রফিক মিয়া ও মহিব উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাংলা টাউন ক্যাশ এন্ড ক্যারির পরিচালক
রফিক হায়দার ২২ টি ভোট পেয়ে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মহিব উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১২ ভোট। সংগঠনের অন্যান্য পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল হায়াত মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও আতাউর রহমান কুটি, ডাইরেক্টর জেনারেল দেওয়ান মাহদী চৌধুরী ও ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল এমদাদ আহমেদ, ফাইনান্স ডিরেক্টর হেলাল উদ্দিন খান,
লন্ডন রিজিওনাল প্রেসিডেন্ট মনির আহমেদ, ডাইরেক্টর ইন্টারনাশনাল এফেয়ার্স মঈন উদ্দিন, ডাইরেক্টর মেম্বারশিপ মো: আব্দুল মুমিন, ডাইরেক্টর কমিউনিটি এফেয়ার্স আহমেদ হাসান ও ডাইরেক্টর প্রেস পাবলিসিটি মিসবাহ আহমেদ
বিএস চৌধুরী।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট বাবসায়ী সাঈদুর রহমান রানুর সবাইকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে ও বিদায়ী ডাইরেক্টর জেনারেল আবুল হায়াত নুরুজ্জামানের সাবলীল উপস্হাপনায়, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত মাননীয় হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিবিসিসিআই’র নতুন প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দার সহ কমিটির সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বৃটেনের বাংগালী কমিউনিটির সফলতা, ইতিহাস ঐতিহ্য ও বর্তমান অধিবাসীর সংখ্যার আগে যে ৫ লাখ বাংগালী বলা হতো তা এখন ৬ লাখ ছাড়িয়ে প্রায় ৭ লাখেরও কাছাকাছি হবে বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইন ইউকের চেয়ার বারিষ্টার আতাউর রহমানের তাত্ক্ষণিক একটি প্রশ্নেরও উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে লন্ডন বরা অব টাওয়ার হামলেটস কাউন্সিলের স্পীকার বারিষ্টার সাঈফ উদ্দিন খালেদ, নিউহাম বরা কাউন্সিলের চেয়ার কাউন্সিলার রহিমা রহমান, বার্কিং ও ডেগেনহাম বরা কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার মঈন কাদরী সহ লন্ডনের বিভিন্ন বরা কাউন্সিলের মেয়র, সাবেক মেয়র ও স্পীকার সহ কাউন্সিলাররা ছাড়াও লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃদ সহ কমিউনিটির অনেক নেতৃস্থানীয় বাক্তিত্বরা উপস্হিত ছিলেন ও নৈশভোজে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিবিসিসিআই র ২/১ জন ডিরেক্টর বাংলাদেশে থাকায় উপস্হিত থাকতে পারেননি।
বিবিসিসিআইএর বোর্ড অব ডিরেক্টরস ও চীফ এডভাইজার্স ও এডভাইজাররা ও সাবেক বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী সহ অনেকে ডিনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নতুন কমিটির সকলকে অভিনন্দন জানান।
বিবিসিসিআইর ডাইরেক্টরস সর্বজনাব সাঈদুর রহমান রানু, ডক্টর ওয়ালি তছর উদ্দিন এমবিই, এম আর চৌধুরী মাহতাব, শাহাগীর বখত ফারুক, বশির আহমেদ, আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি, মহিব উদ্দিন চৌধুরী, এ হামিদ চৌধুরী, মোহাম্মদ নুর মিয়া, কাউন্সিলার জাহাঙ্গীর হক, আবুল কালাম আজাদ, মাহতাব মিয়া, আবুল হায়াত নুরুজ্জামান, আতাউর রহমান কুটি, মনির আহমেদ, দেওয়ান চৌধুরী মাহদী, হেলাল উদ্দিন খান, মিজানুর রহমান মিজান, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল মুমিন, আহমেদ হাসান, রফিক হায়দার, গোলাম কিবরিয়া ওয়েছ, মোস্তফা আহমেদ লাকি, মঈন ঊদ্দিন, আলি মোহাম্মদ জাকারিয়া, আব্দুল মোহাইমিন মিয়া, এমদাদ আহমেদ, ডঃ সানাউর চৌধুরী, মুসলেহ আহমেদ, আতাহির খান, এম এ কাইয়ূম, আব্দুল ওয়াছে চৌধুরী, শাহানুর খান, মিসবাহ আহমেদ চৌধুরীসহ অনেকে উপস্হিত ছিলেন এবং তারা বিবিসিসিআই এর ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রতি আরো অবদান রাখার দৃঢ় অংগীকার বাক্ত করেন। উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালকবৃন্দ।
নৈশভোজ ও ফটোসেশানের পর অনুস্টানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে