‘আগ্রাসন ও বৈষম্য প্রতিরোধ আন্দোলন’ এর আহবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও সরকার দলীয় নেতা-কর্মী কর্তৃক প্রায় পাঁচ শতাধিক নিরীহ শিক্ষার্থীদের নির্মম ও পৈশাচিকভাবে গণহত্যা ও কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত, বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের নিপীড়ণ, নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে লন্ডনের ঐতিহাসিক ট্রাফালগার স্কয়ারে এক বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশ ও রেলি অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রায় ১০ হাজার সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা ওয়েস্ট লন্ডনের পুরো রাস্তা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহকারে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চত্বরে গিয়ে মিলিত হোন ।
বিক্ষোভ মিছিলটি পার্লামেন্ট চত্বরে গিয়ে পৌঁছালে রাইট অনারেবল ব্রিটিশ এমপি আইয়ুব খান বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উত্থাপিত একটি আর্লি ডে মোশন পড়ে শোনান। তিনি জানান আর্লি ডে মোশনে বলা হয়েছে যে, ‘এই হাউস বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বেআইনি বলপ্রয়োগ করে এ পর্যন্ত শত শত মানুষ হত্যা এবং প্রতিবাদ ও ভিন্নমতের অধিকারে প্রদর্শিত অসহিষ্ণুতার তীব্র নিন্দা করে। এছাড়াও এই হাউস আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়ায় সারা দেশে ইন্টারনেট প্রত্যাহারের নিন্দা জানায় এবং বাংলাদেশ সরকারকে ইন্টারনেট পুনরুদ্ধার করার জন্য, বিক্ষোভের উপর সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ করার এবং দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় মানবাধিকার আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা বজায় রাখার আহ্বান জানায়।’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা লন্ডনের ঐতিহাসিক ট্রাফালগার স্কয়ার থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছিলেন। আজ আবারো ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের হত্যা ও বিরোধীমতের নেতা-কর্মীদের হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রায় ১০ হাজার সর্বস্তরের প্রবাসীদের বিক্ষোভ মিছিলটি ওয়েস্ট লন্ডনের পুরো রাস্তা দিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চত্বরে এসে সমাপ্ত হয়। বিভিন্ন রকম, বেনার, পেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজার হাজার প্রতিবাদী কণ্ঠে কিলার হাসিনা, স্টেপ ডাউন, স্টেপ ডাউন স্লোগানে ওয়েস্ট লন্ডনের আকাশ প্রকম্পিত হয়ে উঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি বিলেতের মানবাধিকার, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা রং বেরংয়ের প্ল্যাকার্ড, গেঞ্জি, ক্যাপ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে যোগদান করে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে গণহত্যার নির্দেশদাতা মাফিয়া সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন।
হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিশাল গণ-বিক্ষোভে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বনামধন্য সাংবাদিক শফিক রেহমান, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব শিক্ষাবিদ ড. হাসনাত এম হোসাইন এমবিই, তালেয়া রেহমান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী মাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার এম এ সালাম, এম এ মালিক, কয়সর এম আহমদ, সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন, সৈয়দ মঈন উদ্দিন, মোঃ ইকবাল হোসেন, ড. সাবের শাহ, আবুল কালাম আজাদ, মুজিবুর রহমান মুজিব, হাজী তৈমুছ আলী, আব্দুল হামিদ চৌধুরী, ভিপি মিজানুর রহমান, গোলাম রাব্বানী সোহেল, তাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, আতিকুর রহমান চৌধুরী পাপ্পু, আশরাফুল ইসলাম হীরা, আবেদ রাজা, আব্দুল মুকিত, পারভেজ মল্লিক, নসরুল্লাহ খান জোনায়েদ, সাংবাদিক মাহবুবা জেবিন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ খাঁন, খসরুজ্জামান খসরু, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, ড. মুজিবুর রহমান, সুজাতুর রেজা, আজমল হোসাইন চৌধুরী জাভেদ, শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন, এমদাদ হোসেন টিপু, শহিদুল ইসলাম মামুন, দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন, শামসুর রহমান মাহতাব, ফখরুল ইসলাম বাদল, এস এম লিটন, এম এ সালাম, ফেরদৌস আলম, আসাদুজ্জামান আহমেদ, আব্দুল বাছিত বাদশা, বাবুল চৌধুরী, মোস্তফা সালেহ লিটন, সালেহ আহমদ জিলান, নাজমুল ইসলাম লিটন, এডভোকেট খলিলুর রহমান, শাহীন মিয়া, টিপু আহমদ, সেলিম আহমদ, শামীম আহমদ, তৈয়বুর রহমান হুমায়ুন, সালেহ গজনবী, ডালিয়া লাকুড়িয়া, মইনুল ইসলাম, ইমতিয়াজ এনাম তানিম, কামাল মিয়া, হাবিবুর রহমান, আব্দুস শহীদ, সাদিক হাওলাদার, তুরন মিয়া, কদর, উদ্দিন, সোহেল আহমদ সাদিক, সৈয়দ মোসাদ্দিক আহমদ, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, মোঃ আরিফ আহমদ, মোস্তাক আহমদ, এনামুল হক লিটন, জসিম উদ্দিন সেলিম, আব্দুল হামিদ খান হেভেন, খালেদ চৌধুরী, শরীফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাবু, মির্জা নিক্সন, শরিফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসাইন, সুজাত আহমদ, শারিয়ার রহমান জুনেদ, তপু শেখ, নাজমুল হোসেন চৌধুরী, রহিম উদ্দিন, নাসির আহমদ শাহীন, আফজাল হোসেন, আবুল হোসেন, বাবর চৌধুরী, এ জে লিমন, ব্যারিস্টার লিটন আফিন্দি, লায়েক মোস্তফা, অঞ্জনা আলম, শহিদুল ইসলাম, বুল্বুল আহমদ, আশরাফুল আলম, ইকবাল হোসেন, এমাদ আহমদ, জমসেদ আলী, মনজুর আহমদ শেহনাজ, আবজার হোসেন, আব্দুল খালিক, হাজী সেলিম, শহীদুল্লাহ, আব্দুর রউফ, রফিকুল ইসলাম, মিসবাহ উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল ওয়াদুদ সাহেল, আওলাদ হোসেন, ফজলুল মিয়া, আকিকুর রহমান চৌধুরী জুবের, মাজেদ মিয়া, আলিফ মিয়াসহ প্রমূখ। বিক্ষোভ মিছিলে গণ হত্যা বন্ধ এবং শেখ হাসিনা হঠাও চলমান আন্দোলনে সর্বস্তরের প্রবাসীদের শরিক হওয়ার উদাত্ত আহবান জানানো হয় ।