— সিরাজুল ইসলাম শাহীন।
১৯৩৪ সালে ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন ভারত বন্ধু রাষ্ট্র হতে পারে না। তাই বলেছিলেন, ” ভারত আমাদের শত্রু এই কথাটা যে-ই প্রজন্ম বুঝতে পারবে তাঁরাই এ জাতির শ্রেষ্ট সন্তান ”।
প্রফেসর গোলাম আযমরা বুঝেছিলেন। তাই ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেছিলেন, ” আমাদেরকে শিয়ালের খপ্পর থেকে বাঘের মুখে ফেলে দিয়েন না ” ।
শহীদ জিয়াউর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তালুকদার মনিরুজ্জামানদের পরামর্শ নিয়ে ভারত মোকাবেলার নিরাপত্তা কৌশল নির্ধারণ করছিলেন। গ্রাম পুলিশ,আনসার ভিডিপি, পার্বত্য চট্রগ্রামে আনুপাতিক ভারসাম্য আনয়ন সহ অনেক মৌলিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আওয়ামী সরকার দিয়ে প্রথম সুযোগেই এ সব ভন্ডল করে দেয়া হয়েছে।
এ ধারণায় আপোষহীন থাকায় ফাঁসীতে জীবন দিয়েছেন শহীদ আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, জামায়াত সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াত সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াত সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, জামায়াত নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী, বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। কারা প্রকোষ্টে জীবন দিয়েছেন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা এ কে এম ইউসুফ, মাওলানা আব্দুস সুবহান, মহাদ্দিস আব্দুল খালেক, বিএনপি নেতা নাসিরুদ্দিন পিন্টু। দীর্ঘ কারাভোগ করছেন দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াত ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী।গুম করা হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল আমান আযমী, ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী প্রমূখ।
ভারতীয় অপশক্তি পথের কাঁটা দূর করতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পিলখানায় একইদিনে আমাদের সেনাবাহিনীর ৫৭ জন বীর অফিসারদের। দেশপ্রেমিক ব্যক্তি – প্রতিষ্টান নিষ্ক্রিয় করতে হীন -বর্বর সকল চেষ্টা করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার। শাপলা চত্তরে চালিয়েছে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। জামায়াত -শিবিরের – বিএনপি -হেফাজতের উপর লোমহর্ষক নিপীড়ন। ভারতকে ট্রানজিট দিয়েছে। সমুদ্র বন্দর দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি সব বিলিয়ে দিয়েছে। বাকি সব হরিলুট করেছে নিজেরা। জনগণকে করেছে অধিকার হারা। আমরা ভোট দিতে পারি না। আগ্রাসনের বিরুদ্বে কথা বলতে পারিনা। ন্যায্য দাবি নিয়ে সরব হওয়ায় পাখির মত নির্মমভাবে হত্যা করেছে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের। নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের।
সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে চালাচ্ছে গনহত্যা। নেট নেই -মিডিয়া নেই -আপডেট নেই। বাংলাদেশ যেন গাজা উপত্যকা। ব্রিটিশরা হত্যা করেছে আমাদের, তারা ছিল দখলদার। পাকিস্তানিরা বর্বরতা চালিয়েছিল, তারা ছিল হানাদার। কিন্তু পুলিশ বাহিনী তান্ডব চালাচ্ছে, এরা আমাদের কুসন্তান । হার মানিয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহুর আই ডি এফ – কে কারন ইসরাইলীরা কোন ইসরাইলী মারেনি।
২৮ অক্টবর ২০০৬ থেকে জুলাই ২০২৪ এ দীর্ঘ সময়ে দেশটাকে তছনছ করে দেয়া হয়েছে। এসব অপতৎপরতায় সর্বদা ভারতের সাথে আওয়ামীলীগের সহযোগী হয়েছে দেশদ্রোহী, ইসলাম বিদ্বেষী আর দুর্নীতিবাজ, অতি লোভী, হিংসুক, চরিত্রহীন, বুদ্বিপ্রতিবন্ধী মানুষ নামের অমানুষ শ্রেণীটি।
২০২৪ এ আমাদের সোনামনিরা জীবন দিয়ে তোমাদের চিন্তার সত্যতা এঁকে গেল বিশকোটি দেশবাসীর সামনে। এখন সময় প্রতিরোধের। দেশ রক্ষার। রাষ্ট্র সংস্কারের। এমন দিনে সালাম জানাই তোমাদের। এ লড়াইটা চলবে শেষতক ইনশা-আল্লাহ। ” সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত; মিথ্যার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী ” – আল কোরআন।
sirajulislamshaheen@yahoo.com; 23 july 2024; London 13 :10.