বাড়ি বাংলাদেশ চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেফতার

চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেফতার

22
0

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গাইবান্ধা থেকে সঞ্জয় পাল জয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে গাইবান্ধা শহরের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় ঢাকার বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, সঞ্জয়ের বাড়ি গাইবান্ধা জেলা শহরের সরকারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম রনজিত পাল।

ওসি মাসুদ রানা আরও জানান, ঢাকা মেডিকেলের অফিস সহকারী আমির হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে সঞ্জয় পালকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে সঞ্জয় পাল থানা হাজতে আছেন এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার সকাল থেকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা কর্মবিরতি পালন করেন। তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এবং নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার জন্য চার দফা দাবিতে এই কর্মসূচি শুরু করেন। পরে, দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে গতকাল রাত প্রায় পৌনে ৮টার দিকে কর্মবিরতি স্থগিত করে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা কাজে ফিরে যান।

চিকিৎসক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গত শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসকদের মারধর করা হয়। মৃত শিক্ষার্থীর নাম আহসানুল ইসলাম (২৫), যিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এই ঘটনার পর শনিবার বিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহসানুল ইসলাম শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেলে করে তার বন্ধুকে বিমানবন্দরে নামিয়ে মিরপুরে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। আশপাশের লোকজন তাকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরে শনিবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়, যেখানে তিনি সকালে মারা যান।

এর কয়েক ঘণ্টা পর, একই দিন রাতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ত্রাসীরা ঢুকে একজন রোগীকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং চিকিৎসকদের মারধর করে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে