বাড়ি বাংলাদেশ আমার বাড়িতে বা মসজিদে পাহারা না লাগলে, হিন্দু বন্ধুদের বাড়িতে বা মন্দিরে...

আমার বাড়িতে বা মসজিদে পাহারা না লাগলে, হিন্দু বন্ধুদের বাড়িতে বা মন্দিরে পাহারার প্রয়োজন হবে কেন? – ডাঃ শফিকুর রহমান

35
0

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, তাদের দলের লক্ষ্য ক্ষমতায় এসে সুবিধা ভোগ করা নয়, বরং সমাজে গুণগত পরিবর্তন আনা। তারা এমন একটি সমাজ এবং দেশ চান যেখানে জাতি, দল, ও ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, এবং কারও উপাসনালয় বা বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিনাজপুর শহরের জেল মোড় এলাকার ইনস্টিটিউট মাঠে এক সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত রুদ্র সেনসহ অন্যান্য হতাহতদের স্মরণে।

শফিকুর রহমান বলেন, “যারাই জন্মগতভাবে এ দেশে জন্মগ্রহণ করবে, তারা এ দেশের সৌভাগ্যবান নাগরিক। আমার যদি বাড়িতে বা মসজিদে পাহারা না লাগে, তাহলে হিন্দু বন্ধুদের বাড়িতে বা মন্দিরে পাহারার প্রয়োজন হবে কেন? আমরা এই ধরনের বৈষম্য চাই না।”

তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলন কোনো বিশেষ জনগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের জন্য নয়; এটি ছিল জাতি, দল, ও ধর্ম নির্বিশেষে আপামর জনতার আন্দোলন। কেউ যদি এ আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দেবে।

অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাতজনের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করেন শফিকুর রহমান। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের আমির আনিসুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, জেলার সাবেক আমির আফতাব উদ্দিন মোল্লা, এবং জেলা কর্মপরিষদের সদস্য সিরাজুস সালেহীন প্রমুখ।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে, দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে হেলিকপ্টার থেকে নামেন শফিকুর রহমান। এরপর তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দিনাজপুরের পাহাড়পুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে নিহত শিক্ষার্থী রুদ্র সেনের বাড়িতে যান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে