হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর দাবি, গণিতের মাধ্যমে প্রমাণিত ঈশ্বরের অস্তিত্ব। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে একটি গাণিতিক সূত্র ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করে।
ড. উইলি সুন, একজন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ও এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার, সম্প্রতি টাকার কার্লসন নেটওয়ার্কে উপস্থিত হয়ে যুক্তি দিয়েছেন যে, ১৯২৮ সালে প্রতিপদার্থ সম্পর্কে একটি ভবিষ্যদ্বাণী ইঙ্গিত দেয় যে, মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে। উইলি সুনের বক্তব্য, জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট শর্তাবলী এবং পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক নিয়মগুলি কাকতালীয়ভাবে উদ্ভূত হতে পারে না।
তিনি ব্যাখ্যা করেন পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে এমন মুহূর্ত রয়েছে যখন ধারণাগুলি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে হয়, কিন্তু পরবর্তীতে সেগুলো সত্য প্রমাণিত হয়—যেমন প্রফেসর পল ডিরাকের প্রতিপদার্থের অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার।
১৯৬৩ সালে ডিরাক নিজেই তার জার্নালে লিখেছিলেন ঈশ্বর অবশ্যই একজন অত্যন্ত দক্ষ গণিতবিদ। তিনি সে সময় লিখেছিলেন, “প্রকৃতির একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলি অত্যন্ত সুন্দর ও শক্তিশালী গাণিতিক তত্ত্ব দ্বারা বর্ণিত, যা বুঝতে উচ্চস্তরের গণিতের প্রয়োজন।”
তিনি যোগ করেন, “এ পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে হয়তো বলা যায়, ঈশ্বর একজন সর্বোচ্চ স্তরের গণিতবিদ, এবং তিনি মহাবিশ্ব গঠনে অত্যন্ত উন্নত গণিত ব্যবহার করেছেন।”