ইউরোবাংলা রিপোর্টঃ ইউনিভার্সাল ক্রেডিট বাতিল করে একটি আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে যা যার আওতায় দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্করা প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে £১৬৩.৫০ পাবেন৷

কমিশন অন সোশ্যাল সিকিউরিটি গ্রুপের তৈরি এই প্রস্তাবটি প্রতি সপ্তাহে ন্যূনতম মজুরির অর্ধেক হবে এবং এটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে দূরে রাখার ক্ষেত্রে একটি গ্রহনযোগ্য উপায় হিসাবে মনে করা হচ্ছে।

এমন লোকদের দিয়ে এই কমিটি গঠিত যারা তাদের জীবনের কোন এক পর্যায়ে বেনেফিটের ওপর চলেছেন। সাপ্তাহিক মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই একই নেতারা বলছেন যে বর্তমান ইউনিভার্সাল ক্রেডিট সিস্টেমটি বাতিল করা উচিত এবং প্রতিস্থাপন করা উচিত।

গ্রুপের প্রস্তাবের কেন্দ্রীয় বৈশিষ্ট্য হল একই পরিবারে বসবাসকারী সকল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি সপ্তাহে £১৬৩.৫০ এর একটি ‘গ্যারান্টিড ডিসেন্ট ইনকাম’।

এটি একটি ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের মতো, কিন্তু ধনী এবং দরিদ্র সকল প্রাপ্তবয়স্কদের অর্থ প্রদানের পরিবর্তে, যাদের উপার্জন £163.50 থ্রেশহোল্ডের নিচে নেমে গেছে বা যারা মোটেও উপার্জন করেন না তাদেরকেই এই অর্থ দেয়া হবে।

চাইল্ড বেনিফিট সপ্তাহে £৫০ নির্ধারণ করা হবে, এটি বর্তমানে বড় সন্তানের জন্য দেয় £২১.১৫ এর দ্বিগুণেরও বেশি, এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পেমেন্ট £৮৩.৭০ থেকে £২৩০.৭৭ পর্যন্ত হবে৷

এই প্রস্তাবনাগুলো করা হয়েছে বেনেফিট সিস্টেম এর সংস্কারের জন্য কাজ করা ‘কমিশন’ গ্রুপ দ্বারা। অসমতা প্রচারাভিযান গ্রুপ ট্রাস্ট ফর লন্ডন এর জন্য অর্থায়ন করেছে।

যদিও বর্তমানে এর ব্যয়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি, তবে কমিশন সেক্রেটারি মাইকেল অরটন ব্যাখ্যা করেছেন যে, বৈপ্লবিক এই পরিকল্পনার জন্য ‘যুদ্ধোত্তর’ পূর্ণরগঠনের মতো বিনিয়োগের দরকার হবে।

তবে প্রস্তাবিত এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হলে এর পুরো বিনিয়োগ ফেরত আসবে। কারণ অন্য অনেক ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে। সর্বোপরি এটি একটি স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ সমাজের নিশ্চয়তা দেবে।

ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চের ড. অরটন বলেন, ‘মহামারী আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে যে, যখন সময়টা কঠিন ছিল, তখন অবৈতনিক পরিচর্যাকারী, সুপারমার্কেটের কর্মী এবং নিম্ন আয়ের মানুষেরা আমাদের সমাজকে সচল রেখেছিল।

“এটি আরও দেখিয়েছে যে আমরা যদি চাই তবে আমরা প্রত্যেকের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।

“তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউনিভার্সাল ক্রেডিটে কাটছাঁটট করার অর্থ হল সরকার ভুল পথে চলেছে। ২০২২ সালে জীবনযাত্রার সংকট তৈরি হওয়ার সাথে সাথে এই কাট অভিপ্রেত নয়।”

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে